আগামী সপ্তাহ থেকে আপিল বিভাগে দুই বেঞ্চে চলবে বিচারকাজ
বিচারক সংকটের কারণে দীর্ঘদিন ধরে আপিল বিভাগে একটি বেঞ্চে বিচারকার্য চলছিল। সম্প্রতি আপিল বিভাগে তিনজন বিচারপতি নিয়োগ দেয়া হয়েছে। ফলে আগামী সপ্তাহ থেকে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে দুই বেঞ্চে বিচারকাজ পরিচালনা করা হবে।
রোববার (২৮ এপ্রিল) সকালে আপিল বিভাগের এজলাস কক্ষে আইনজীবীদের উদ্দেশ্যে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান এ তথ্য জানান। বর্তমানে প্রধান বিচারপতিসহ আপিল বিভাগে ৮ জন বিচারপতি রয়েছেন।
গত বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে নিয়োগ পাওয়া তিন বিচারপতিকে শপথ বাক্য পাঠ করান প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।
এর আগে বুধবার সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে তিনজন বিচারপতি নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি। তিন বিচারপতি হলেন- বিচারপতি মুহাম্মদ আব্দুল হাফিজ, বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলাম ও বিচারপতি কাশেফা হোসেন।
সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইট থেকে পাওয়া তথ্য অনুসারে, বিচারপতি মুহাম্মদ আবদুল হাফিজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনে স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। পরে ১৯৮২ সালে ঢাকা জেলা আদালতের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। ১৯৮৫ সালে হাইকোর্ট বিভাগের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন তিনি। ২০০৩ সালের ২৭ এপ্রিল হাইকোর্ট বিভাগে অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে নিয়োগ পান। দুই বছর পর ২০০৫ সালের ২৭ এপ্রিল হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি হিসেবে স্থায়ী নিয়োগ পান।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনে (সম্মান) ডিগ্রি অর্জনের পর ১৯৮৩ সালের ২০ এপ্রিল মো. শাহিনুর ইসলাম মুনসেফ (সহকারী জজ) হিসেবে নিয়োগ পান। ২০০১ সালের ১৩ জানুয়ারি জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে পদোন্নতি পান। নড়াইল ও হবিগঞ্জের জেলা জজ হিসেবে এবং ঢাকার প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার হিসেবে ২০১০ সালে তিনি নিয়োগ পান। ২০১২ সালের ২২ মার্চ তিনি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২–এর সদস্য হিসেবে নিয়োগ পান। ২০১৩ সালের ৫ আগস্ট হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে নিয়োগ পান মো. শাহিনুর ইসলাম। দুই বছর পর তিনি স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান। ২০১৭ সালের ১১ অক্টোবর বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলাম আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ পান। চলতি বছরের ২৭ ফেব্রুয়ারি তাঁকে হাইকোর্ট বিভাগে ফেরত আনা হয়।
বিচারপতি কাশেফা হোসেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করেন। পরে ইউনিভার্সিটি অব লন্ডন থেকে এলএলএম করেন। ১৯৯৫ সালের ১২ অক্টোবর জেলা আদালত এবং ২০০৩ সালের ২৭ এপ্রিল হাইকোর্ট বিভাগের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন তিনি। ২০১৩ সালের ৫ আগস্ট হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে নিয়োগ পান তিনি। দুই বছর পর স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান।