অন্তর্বর্তী সরকারের আরও দুই উপদেষ্টার শপথ
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নিয়েছেন বিধান রঞ্জন রায় ও সুপ্রদীপ চাকমা। রবিবার (১১ আগস্ট) দুপুর ১২টা ৫৪ মিনিটে বঙ্গভবনের দরবার হলে তাদের শপথবাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
রাষ্ট্রপতির প্রেস উইং থেকে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
এ সময় শপথ অনুষ্ঠানে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস উপস্থিত ছিলেন। আরও দুজনের উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেওয়ার মাধ্যমে অন্তর্বর্তী সরকারের আকার ১৬ জনে দাঁড়িয়েছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাত ৯টা ২১ মিনিটের দিকে বঙ্গভবনে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। পরে ৯টা ২৮ মিনিটে শপথ নেন এই সরকারের ১৩ জন উপদেষ্টা।
আর ঢাকার বাইরে থাকায় ওই দিন শপথ নিতে পারেননি অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টার তালিকায় মনোনীত তিন জন। তারা হলেন ফারুক-ই-আজম, বিধান রঞ্জন রায় ও সুপ্রদীপ চাকমা।
আজ বিধান রঞ্জন রায় ও সুপ্রদীপ চাকমা শপথ নিলেও এখনও শপথ নেননি ফারুক-ই-আজম।
শপথ নেওয়া অন্য উপদেষ্টারা হলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর সালেহ উদ্দিন আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষক ড. আসিফ নজরুল, মানবাধিকারকর্মী আদিলুর রহমান খান, সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল হাসান আরিফ, সাবেক পররাষ্ট্র সচিব তৌহিদ হোসেন, পরিবেশ আইনজীবী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, নির্বাচন পর্যবেক্ষক শারমিন মুর্শিদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুকী আজম, সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রি. জেনারেল (অব.) সাখাওয়াত হোসেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান সুপ্রদীপ চাকমা, চিকিৎসক বিধান রঞ্জন, ইসলামি চিন্তাবিদ আ ফ ম খালিদ হাসান, উন্নয়নকর্মী ফরিদা আখতার, গ্রামীণ ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক নূরজাহান বেগম, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মো. নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
অন্তর্বর্তী সরকারে কে কোন দফতর পেলেন
প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস পেয়েছেন- ১. মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ; ২. প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়; ৩. সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ; ৪. শিক্ষা মন্ত্রণালয়; ৫. সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়; ৬. খাদ্য মন্ত্রণালয়; ৭. গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়; ৮. ভূমি মন্ত্রণালয়; ৯. বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়; ১০. কৃষি মন্ত্রণালয়; ১১. বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়; ১২. রেলপথ মন্ত্রণালয়; ১৩. জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়; ১৪. বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়; ১৫. নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়; ১৬. পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়; ১৭. মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়; ১৮. দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়; ১৯. তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়; ২০. প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়; ২১. বাণিজ্য মন্ত্রণালয়; ২২. শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়; ২৩. সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়; ২৪. বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়; ২৫. মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়; ২৬. পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়; ২৭. প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
উপদেষ্টাদের মধ্যে সালেহ উদ্দিন আহমেদ পেয়েছেন অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়; আসিফ নজরুল পেয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়; আদিলুর রহমান খান পেয়েছেন শিল্প মন্ত্রণালয়; হাসান আরিফ পেয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়; মো. তৌহিদ হোসেন পেয়েছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়; সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান পেয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়; শারমীন এস মুরশিদ পেয়েছেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়; ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন পেয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়; ড. আ. ফ. ম. খালিদ হোসেন পেয়েছেন ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়; ফরিদা আখতার পেয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়; নুরজাহান বেগম পেয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়; মো. নাহিদ ইসলাম পেয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়; আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া পেয়েছেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়।