নিজস্ব প্রতিবেদক : ৭১ বছরে পা দিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ১৯৪৭ সালের এই দিনে ঠাকুরগাঁও জেলার এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন তিনি।
জন্মদিনের প্রথম প্রহরে দলীয় চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও সিনিয়র নেতারা তাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। বুধবার রাতে চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয় থেকে বের হওয়ার সময় খালেদা জিয়া ফখরুলকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানান বলে চেয়ারপারসনের প্রেস উইং সদস্য শায়রুল কবির খান জানান।
জন্মদিন উপলক্ষে কোনো আনুষ্ঠানিকতা না থাকলেও দিনভর নেতাকর্মীরা মির্জা ফখরুলের উত্তরার বাসভবনে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
দলের ২০১৬ সালে দলের ৬ষ্ঠ কাউন্সিলে মির্জা ফখরুল বিএনপির মহাসচিব নির্বাচিত হন। এর আগে তিনি দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব ছিলেন। ২০১১ সালের মার্চে দলের মহাসচিব খন্দকার দেলওয়ার হোসেনের মৃত্যুর পর তিনি দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব হন। টানা পাঁচ বছর তিনি এই দায়িত্ব পালন করেন।
এর আগে মির্জা ফখরুল কৃষি, পর্যটন ও বেসরকারি বিমান চলাচল বিষয়ক প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন। এবং ঠাকুরগাঁও-১ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতি বিষয়ে স্নাতক (সম্মান) ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি।
মির্জা ফখরুল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। তিনি তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়নের (পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন) সদস্য ছিলেন এবং সংগঠনটির এস এম হল শাখার সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছিলেন। ১৯৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানের সময়ে তিনি সংগঠনটির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি ছিলেন।
ছাত্রজীবনের রাজনীতিতে সক্রিয় থাকলেও মির্জা ফখরুলের কর্মজীবন শুরু হয় শিক্ষকতায়। একাধিক সরকারি কলেজে অধ্যাপনা করেছেন তিনি। ৮০’র দশকে তিনি মূলধারার রাজনীতিতে আসেন। এর আগে মির্জা ফখরুল ১৯৭০’র দশকের শেষে তৎকালীন উপ-প্রধানমন্ত্রী এস এ বারির ব্যক্তিগত সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ওই পদে তিনি ১৯৮২ সাল পর্যন্ত বহাল ছিলেন। ১৯৮৮ সালে ঠাকুরগাঁও পৌরসভার নির্বাচনের মাধ্যমে ফিরে আসেন রাজনীতিতে। তারপরের বছরই তিনি যোগ দেন বিএনপিতে।
ব্যক্তিগত জীবনে মির্জা ফখরুল বিবাহিত এবং দুই মেয়ের জনক।তার স্ত্রী রাহাত আরা বেগম কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রিধারী। তার বড় মেয়ে মির্জা শামারুহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা শেষে সেখানেই শিক্ষকতা করেছেন। বর্তমানে তিনি অস্ট্রেলিয়ায় পোস্ট ডক্টরাল ফেলো হিসেবে কর্মরত আছেন। ছোট মেয়ে মির্জা সাফারুহও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা করেছেন। তিনি বর্তমানে ঢাকার একটি স্কুলে শিক্ষকতা করছেন।