চলতি অর্থবছরে সৌদিআরব, মরক্কো ও কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড (কাফকো) থেকে এক লাখ ৩০ হাজার মেট্রিক টন সার আমদানির অনুমোদন দিয়েছে সরকার।
এতে মোট ব্যয় হবে ৬৭৩ কোটি ৭৩ লাখ ৮৮ হাজার টাকা।
এরমধ্যে ৬০ হাজার টন ইউরিয়া, ৪০ হাজার টন ডিএপি এবং ৩০ হাজার টন টিএসপি সার রয়েছে।
বুধবার (২ অক্টোবর) দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির ষষ্ঠ বৈঠকে এ প্রস্তাবগুলো অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
বৈঠক শেষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ সাংবাদিকদের জানান, আজ ক্রয় সংক্রান্ত কমিটির ষষ্ঠ সভা হয়। বৈঠকে সপ্তম প্রস্তাব উপস্থাপিত ও আলোচিত হয় এবং সবকয়টি প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, দেশের জ্বালানি ও সারের চাহিদা মেটাতে আজকে কিছু প্রস্তাবের অনুমোদন দিয়েছে। কৃষি কাজের জন্য কোনো সারের অভাব হবে। চাহিদা মেটাতে ও মজুদ বাড়াতে সার আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। আর আমাদের ব্যবসা বাণিজ্যের জ্বালানির দরকার সেটা আমরা নিশ্চিত করবো। সারের ক্ষেত্রে আমাদের যত রকমের সোর্স আছে সবদিক থেকে চেষ্টা করা হবে। আর আমাদের কাফফো আছে ঘোড়াসাল সার কারখানাতেও ভালো উৎপাদন হচ্ছে।
তাহলে কি দেশে জ্বালানির সংকট ধীরে ধীরে বেড়ে যাচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দেশের জ্বালানির যে সংকট আছে সেটাকে আমরা মিনিমাইজ করছি। যাতে ব্যবসা বাণিজ্য টাকে সচল রাখা যায়।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে সৌদি আরবের কৃষি পুষ্টি কোম্পানি সাবিক দ্বিতীয় লটের ৩০ হাজার মেট্রিক টন বান্ধ গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এতে ব্যয় হবে ১২৪ কোটি ৬৭ লাখ হাজার টাকা। প্রতি মেট্রিক টন সারের দাম পড়বে ৩৪৬.৩৩ মার্কিন ডলার।
২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড (কাফকো), বাংলাদেশ এর কাছ থেকে চতুর্থ লটে ৩০ হাজার মেট্রিক টন ব্যাগড গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন৷। এতে ব্যয় হবে ১২০ কোটি ৭৮ লাখ টাকা। প্রতি মেট্রিক টন সারের দাম পড়বে ৩৩৫.৫০ মার্কিন ডলার।
রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে ওসিপি এস. এ মরক্কো এবং বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি)’র মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তির আওতায় ওসিপি এস. এ মরক্কো থেকে ৬ষ্ঠ লটের ৩০ মেট্রিক টন টিএসপি সার আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন। এতে ব্যয় হবে ১৪৯ কোটি ৪০ লাখ টাকা। প্রতি মেট্রিক টন সারের দাম পড়বে ৪১৫.০০ মার্কিন ডলার।
রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে সৌদিআরবের মা আদেন এবং বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি)’র মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তির আওতায় দশম লটের ৪০ হাজার মেট্রিক টন ডিএপি সার আমদানির প্রস্তাব। এতে ব্যয় হবে ২৭৮ কোটি ৮৮ লাখ টাকা। প্রতি মেট্রিক টন সারের দাম পড়বে ৫৮১.০০ মার্কিন ডলার।
এছাড়া সার সংরক্ষণ ও বিতরণের সুবিধার্থে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ৩৪টি বাফার গুদাম নির্মাণ (১ম সংশোধিত)’শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ১ম প্যাকেজের লট-০২ (নেত্রকোণা (১০০০০ মে.টন), ময়মনসিংহ (২৫০০০ মে.টন))-এর ২টি সাইটের নির্মাণ কাজ উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতি (ওটিএম)-তে বাস্তবায়নের জন্য ক্রয়ের প্রস্তাব বাতিল করা হয়েছে৷