দেশে প্রথমবারের মতো তৈরি করা হবে স্পোর্টস ইনস্টিটিউট। যুব ও ক্রীড়া উপদেস্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া রোববার সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দিয়েছেন। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টার দায়িত্ব পাওয়ার পর এই প্রথম তিনি কোনো পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করলেন।
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তরুন এই উপদেষ্টা বলেছেন, ‘বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনে যুগান্তকারী এক সিদ্ধান্তের দ্বারপ্রান্তে আছি আমরা। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশের ক্রীড়াবিদদের হাই পারফরম্যান্স, ক্রীড়াবিদদের মানসিক ও শারীরিক সক্ষমতা বৃদ্ধি, ক্রীড়া কৌশল, নেতৃত্বগুণের উন্নয়ন তথা সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে দেশে প্রথমবারের মতো নির্মিত হতে যাচ্ছে দেশের প্রথম স্পোর্টস ইনস্টিটিউট।’
এই প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য সম্পর্কে আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘ইংল্যান্ড, আমেরিকা, ফ্রান্স ও চীনসহ উন্নত রাষ্ট্র স্পোর্টস ও সায়েন্সের মেলবন্ধনে যে ফলাফল ও সাফল্য অর্জন করেছে তা নিশ্চিত করাই হবে আমাদের এই ইন্সটিটিউটের অন্যতম লক্ষ্য। বাংলাদেশ স্পোর্টস ইন্সটিটিউটের মিশন ও ভিশন বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সম্ভাব্য অন্তর্ভূক্তিযোগ্য সেবাসমূহের মধ্যে রয়েছে- খেলোয়াড় ও অ্যাথলেটদের পারফরম্যান্স উন্নয়নে স্পোর্টস বায়োমেকানিক ইউনিট, স্পোর্টস সাইকোলোজিক ইউনিট, পারফরম্যান্স নিউট্রিশন ইউনিট, স্পোর্টস লিডারশিপ ইউনিটসহ স্পোর্টস ইনোভেশন ইউনিট। হাই ইন্টেনসিটিভ গেমের ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স ও টিম পারফরম্যান্স উন্নয়নে স্পোর্টস পারফরম্যান্স ডাটা ইউনিট, স্পোর্টস মেডিসিন ইউনিট, হাই পারফরম্যান্স কেয়ার ইউনিট।’
বাংলাদেশ স্পোর্টস ইনস্টিটিউট কি নতুন কোনো অবকাঠামো তৈরির মাধ্যমে করা হবে নাকি বিদ্যমান কোনো (যেমন বিকেএসপি) স্থাপনায় হবে, এমন প্রশ্নের উত্তরে ক্রীড়া উপদেষ্টা বলেন, ‘দ্রুত সময়ে কাজ শুরুর জন্য প্রথমে আমরা দেখবো বিদ্যমান কোনো কাঠামোতে করা যায় কিনা। না হলে নতুন করে করতে হবে।’
প্রশ্ন উঠেছিল বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থাকতে নতুন করে কেন স্পোর্টস ইনস্টিটিউট? তার ব্যাখ্যা দিয়ে আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘বিকেএসপিতে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত লেখাপড়া ও ক্রীড়া অনুশীলন হয়। সর্বোচ্চ পারফরম্যান্সের জন্য এই প্রতিষ্ঠান।’
তবে এই স্পোর্টস ইনস্টিটিউট কোথায় তৈরি হবে, কত টাকা লাগবে এ বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি মন্ত্রণালয়। যুব ও ক্রীড়া সচিব ড. মহিউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ‘আমরা এখনো বাজেট করিনি। কারণ, সম্ভাব্যতা যাচাই হওয়ার পর এসব ঠিক হবে।’