নিজস্ব প্রতিবেদক : বখাটেদের ইভটিজিংয়ের অপমানের রাজধানীর খিলগাঁওয়ে ১৬ বছর আগে সীমা বানু সিমির বিষপানে আত্মহত্যার ঘটনায় তার বাবার করা আপিল আবেদন নিম্ন (বিচারিক) আদালতে রিভিশন হিসেব নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছেন সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ। এই আদেশের ফলে সীমা বানুর বাবার করা আবেদন শুনানিতে বাধা কেটে গেছে।
বুধবার সকালে প্রধান বিচারপতির সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহার নেতৃত্বে চার সদস্যের আপিল বিভাগের বেঞ্চ আপিল গ্রহণ করে দায়রাজজ আদালতের আদেশের বিরুদ্ধে আসামিপক্ষের আবেদন (নথিপত্র) পর্যবেক্ষণ করার আদেশ দেন।
রায়ে উল্লেখ করা হয়, বিষয়টি আপিল রিভিশন হিসেবে বিবেচনা করে নিষ্পত্তির নির্দেশ দেওয়া হলো। দায়রা আদালত বা উপযুক্ত আদালতে এর নিষ্পত্তি করতে হবে।
আদালতে আজ রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল খোন্দকার দিলিরুজ্জামান। আসামিপক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন।
উল্লেখ্য ২০০১ সালে বখাটেদের অপমান সইতে না পেরে বিষপানে আত্মহত্যা করেছিলেন সীমা বানু সিমি। ওই ঘটনায় করা মামলায় বিচারিক আদালত পাঁচজনকে এক বছর করে কারাদণ্ড এবং অপর একজনকে খালাস দিয়েছিলেন। বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে সিমির বাবা দায়রা আদালতে আপিল করেন।
ওই আপিল দায়রা আদালত শুনানির জন্য এক যুগ আগে গ্রহণ করেন। দায়রা আদালতের সেই আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন আসামিরা। হাইকোর্ট সেই আবেদন খারিজ করলে আপিল বিভাগে যান তারা। সেই আবেদনটি আজ আপিল বিভাগ নিস্পত্তি করে দিলেন।
খোন্দকার দিলিরুজ্জামান সাংবাকিদদের জানান, সর্বোচ্চ আদালতের এই আদেশের ফলে আসামিদের দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে সিমির বাবার করা আপিল নিষ্পত্তি করতে হবে।
উল্লেখ্য, নারায়ণগঞ্জ চারুকলা ইনস্টিটিউটের ছাত্রী সীমা বানু সিমি ২০০১ সালের ২৩ ডিসেম্বর আত্মহত্যা করেন। মৃত্যুর আগে লিখে যাওয়া চিরকুটের সূত্র ধরে খিলগাঁও এলাকার দোয়েল, খলিল, মোফাজ্জল, রিপন, খিলগাঁও থানার তৎকালীন উপ-পরিদর্শক বাশার ও তাদের সহযোগিতাকারী এনায়েত চৌধুরীর বিরুদ্ধে পুলিশ ও সিমির বাবা আলী এমদাদ দুটি পৃথক মামলা করেন।