ঢাবি প্রতিনিধি : রামপালে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পের বিরোধীতা করে তেল-গ্যাস খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির ডাকা আধাবেলা হরতালে দায়িত্ব পালনের সময় এটিএন নিউজের নিজস্ব প্রতিবেদক ঈশান দিদার ও ক্যামেরাম্যান আব্দুল আলীমের ওপর পুলিশি হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে সাংবাদিক ও সচেতন নাগরিক সমাজ।
শনিবার সকাল ১১টায় শাহবাগের জাতীয় জাদুঘর সংলগ্ন সড়কে মুখে কালো কাপড় বেঁধে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন তারা। মানববন্ধকালে সাংবাদিকদের হাতে, ‘সংবাদের স্বাধীনতা চাই’, ‘কলম আর ক্যামেরা কোন বাধা মানেনা’, ‘তথ্যই মুক্তি’ এমন নানা প্রতিবাদী প্লেকার্ড ছিল।
মানববন্ধনে এক প্রশ্নের জবাবে সাংবাদিক মুন্নি সাহা বলেন, ‘সরকারের কানে পৌঁছানোর জন্যই আমরা এখানে দাঁড়িয়েছি। আমরা গণমানুষের কাছে পৌঁছাতে পেরেছি। হরতাল বা যেকোনো জাতীয় কর্মকাণ্ডে আমরা পুলিশের পাশাপাশি অবস্থান করি। আর সংবাদকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের এমন আচরণ জলে বাস করে কুমিরের সঙ্গে লড়াই করার মত।’
পুলিশকে লক্ষ্য করে মুন্নি সাহা বলেন, যদি সাংবাদিক নির্যাতনই পুলিশের পদোন্নতির প্রধান উদ্দেশ্য হয়, তাহলে আজ আমরা যে মৌন মিছিল করছি তাতে হামলা চালান।
মুন্নি সাহা বলেন, সংবাদকর্মী বা অন্যান্য অন্যায়ের বিচারের নামে পুলিশকে সাময়িক বহিষ্কার করা জামাই আদর করার ন্যায়। রামপালের সংবাদকে পুলিশ ভিন্নপথে পরিচালিত করার জন্যই এই আচরণ করেছে। পুলিশ আসলে কাদের দিকে প্রবাহিত করার জন্য এ ঘটনা ঘটিয়েছে? আমরা এর দ্রুত বিচার চাই।’
সাংবাদিক নেতা ফায়েজ আহমেদ বলেন, প্রধানমন্ত্রীর পুলিশকে জনবান্ধব হওয়ার আহ্বানকে উপেক্ষা করে পুলিশের এ আচরণ রাষ্ট্রবিরোধী এবং বর্তমান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এ প্রসঙ্গে গণমাধ্যমকে দেয়া মন্তব্যকে হাস্যকর ও দায়িত্বহীনতার পরিচয়। তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মন্তব্যের নিন্দা জানান।