সংবাদ শিরোনাম

 

নিজস্ব প্রতিবেদক : সরকারি ব্যবস্থাপনায় চলতি বছর হজ গমনেচ্ছুদের প্রাক নিবন্ধন শুরু হয়েছে। চলতি বছর বাংলাদেশ থেকে হাজীর সংখ্যা বাড়বে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রণালয়ের সচিব আবদুল জলিল।

রবিবার সচিবালয়ে ধর্মমন্ত্রী মতিউর রহমান এই প্রাক নিবন্ধন কার্যক্রমের কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। প্রথম দিন হজে যেতে প্রাক-নিবন্ধন করেছেন চারজন। এদের হাতে প্রাথমিক কাগজপত্র তুলে দেন মন্ত্রী। এরা হলেন, মতিউর রহমান, তার স্ত্রী শাহনাজ বেগম, মুস্তফা কামাল এবং তার স্ত্রী নিলুফার কামাল।

গত বছর এক লাখ ৪০ হাজার ৯৯৪ জন হজযাত্রী প্রাক নিবন্ধন করেছিলেন। এদের মধ্যে হজ ব্যবস্থাপনার সদস্যসহ মোট এক লাখ এক হাজার ৮২৯ জন হজযাত্রী হজে গিয়েছিলেন। অন্যরা ২০১৭ সালের জন্য নিবন্ধিত হয়েছিলেন। চলতি বছর এরা সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন।

হজে যাওয়ার মূল নিবন্ধন কবে থেকে হবে? – এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘সৌদি আরবে হজ চুক্তি হবে ১ ফেব্রুয়ারি। সেখানে আমি আমার কয়েকজন কর্মকর্তা নিয়ে যাবো। চুক্তির পর বলতে পারবো মূল কাজ কবে শুরু হবে।’ এবার কতো জন হজে যাবো এমন প্রশ্নের জবাবে ধর্মসচিব মো. আব্দুল জলিল জানান, ‘সৌদি আরব এবার ২০ শতাংশ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করছে। এটি কাযৃকর কলে হজযাত্রীর সংখ্যা বাড়বে। ১ লাখ ২৫ হাজার ছাড়িয়ে যাবে বলে জানান সচিব।

ধর্মমন্ত্রী জানান, গত বছরের তালিকার পর থেকে এ বছর প্রাক-নিবন্ধন শুরু হবে। এ বছর প্রাক-নিবন্ধন কার্ক্রম শুরু হবে ৫৪০২ নম্বর সিরিয়াল থেকে। আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় গমনেচ্ছু হজযাত্রীদের প্রাক-নিবন্ধন শুরু হবে ১ লাখ ৪০ হাজার ৯৯৫ নম্বর সিরিয়াল থেকে।

মন্ত্রী জানান, এবছর হজ কার্ক্রম পরিচালনার জন্য ৯৬৪ টি বৈধ হজ এজেন্সির তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। অনুমোদিত ২৫টি ব্যাংকের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। এছাড়া গত বছর হজ পালনকারী হজযাত্রীদের তালিকা আর্কাইভ করে রাখা হয়েছে। বৈধ হজ এজেন্সিসমূহকে অনলাইন কার্ক্রমের জন্য প্রয়োজনীয় পাসওয়ার্ড দেয়া হয়েছে।

এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, নিবন্ধন কবে পর্যন্ত চলবে তা এখনও নির্দিষ্ট হয়নি। আগামী মাস থেকে বেসরকারিভাবে হতে যেতে ইচ্ছুকদের প্রাক নিবন্ধন শুরু হতে পারে বলেও জানান মন্ত্রী।

তবে বেসরকারি হজ এজেন্সিদের মোর্চা হাবের সভাপতি ইব্রাহিম বাহার বলেন, ‘আমরা বেরসরকারিভাবে কবে প্রাব-নিবন্ধন শুরু করতে পারবো তা বলতে পারছি না। কারণ প্রাক নিবন্ধনের আগে অনেক বিষয় আছে যেগুলো সমাধান হওয়া উচিত।’

হাবের সভাপতি বলেন, ‘বাংলাদেশে হজ এজেন্সির সংখ্যা এক হাজার ৪০০টি। এগুলোর মধ্যে সরকার বৈধ ঘোষণা করেছে ৯৬৪ টি। বাকিরা করতে পারবে কি না সে বিষয়ে মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা দিতে হবে। এরপর বাকি কার্যক্রম শুরু হবে।’

গতবছর ৭৫১ জন অবৈধভাবে হজ করেছে। অনলাইন নিবন্ধনের পরেও কীভাবে এটি হলো- এমন প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, ‘সেবিষয়টি নিয়ে দুইটি তদন্ত হয়েছে। রিপোর্ট মন্ত্রীর দপ্তরে জমা হয়েছে। শিগগিরই জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার খবর আপনারা জানতে পারবেন।’

এক প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, ‘গত বছর থেকে ই-হজ কার্যক্রম চালু হচ্ছে। রাজকীয় সৌদি সরকারের সহযোগিতায় এ কাজ চালু হয়েছে। এবার কিছুদিন আগে আমি সৌদি গিয়েছিলেন। তারা চাইছে মার্চের মধ্যে হজ নিবন্ধন কার্ক্রম শেষ হোক। যাতে গত বছরের মতো দেরি না হয়। ’


মতামত জানান :

 
 
 
কপিরাইট © ময়মনসিংহ প্রতিদিন ডটকম - সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত | উন্নয়নে হোস্টপিও.কম