নিজস্ব প্রতিবেদক : নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন নিয়ে বঙ্গভবনের আলোচনার আমন্ত্রণ পাওয়ার দুই দিনের মধ্যে লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে বসতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ। বুধবার সন্ধ্যা ছয়টায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে এই বৈঠক হবে বলে জানিয়েছেন দলের নেতারা।
গত ১৮ ডিসেম্বর থেকে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ শুরু করেন। প্রথমেই তিনি কথা বলেন বিএনপির সঙ্গে। এরপর নিবন্ধিত বিভিন্ন দলের সঙ্গেই এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর অংশ হিসেবে আগামী ১১ জানুয়ারি তিনি ডাকেন ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগকে।
আওয়ামী লীগের নির্বাহী পরিষদের এক নেতা ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘আমাদের অবস্থান পরিষ্কার। সংবিধানে যেভাবে বলা আছে, সেভাবেই গঠন করতে হবে নির্বাচন কমিশন। আমরা এই কথাই রাষ্ট্রপতিকে আবারও বলবো। আজকের বৈঠকে দলীয় ফোরামে এর বাইরে আরও কিছু বিষয়ে আলোচনা করেই সব চূড়ান্ত হবে।’
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংলাপে আওয়ামী লীগের ১০ সদস্যের প্রতিনিধি দল অংশ নেবে বলে জানিয়েছেন দলটির নেতারা। কারা কারা এই সংলাপে যাবেন, আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রপতির কাছে কোন দাবি বা প্রস্তাব তুলে ধরবেন-এই বৈঠকেই তা নিয়ে আলোচনা হবে বলেও জানিয়েছেন নেতারা।
গত ২২ ও ২৩ অক্টোবরের জাতীয় সম্মেলনে নতুন গঠিত ৮৩ সদস্যের কার্যনির্বাহী সংসদ এর আগে গত ৯ নভেম্বর শেষ বৈঠক করে।
আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি শেষ হচ্ছে কাজী রকিবউদ্দীন আহমেদের নেতৃত্বে বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ। তার আগেই এই সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ দিতে হবে। সংবিধান অনুযায়ী এই নিয়োগ দেবেন রাষ্ট্রপতি। তবে এই সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে তিনি স্বাধীন নন। তাকে প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ মেনেই চলতে হবে।
২০১২ সালেও নির্বাচন কমিশন গঠনের আগে সে সময়ের রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান বিভিন্ন দলের সঙ্গে সংলাপে বসেছিলেন। ওই সংলাপে অংশ নিয়েছিল বিএনপিও। তবে কাজী রকিবের নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশনকে শুরু থেকেই সমালোচনার মধ্যে রেখেছিলেন তারা।
এবার নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে সংলাপে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদকে ১৩ দফা প্রস্তাব দিয়েছে বিএনপি। তবে তাদের প্রস্তাবের প্রধানতম দিক হচ্ছে সব দলের মতৈক্যের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন গঠন। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ বিএনপির এই অবস্থানের পক্ষে নয়। তবে তারা জানিয়েছে, রাষ্ট্রপতি যে সিদ্ধান্ত দেবেন তা আওয়ামী লীগ মেনে নেবে। মানতে হবে অন্যদেরও।