সংবাদ শিরোনাম

 

নিজস্ব প্রতিবেদক : সমাজ অপরাধমুক্ত করতে আইন প্রয়োগের পাশাপাশি বিকল্প উপায় খোঁজার আহ্বান জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

তিনি বলেছেন, “কেবল শাস্তি দিয়ে অপরাধ দমন করা যাবে না। আইন প্রয়োগের পাশাপাশি অপরাধ দমনের বিকল্প উপায় বের করতে হবে।

“সময়ের সাথে সাথে অপরাধের ধরনের পরিবর্তন ঘটছে। তাই অপরাধ দমন বা মোকাবেলা করতে হলে অপরাধের কারণগুলো খুঁজে বের করতে হবে। সে জন্য দরকার বিজ্ঞানসম্মত গবেষণা।”

অপরাধ প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও বিচার বিষয়ক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ক্রাইম অ্যান্ড জাস্টিস স্টাডিজ’র প্রথম বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন আইনমন্ত্রী।

শনিবার বাংলা একাডেমির কবি শামসুর রহমান মিলনায়তনে সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে ‘সহিংসতার নানা ধরন: বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনায় অংশ নেন তিনি।

আনিসুল হক বলেন, “বর্তমানে নতুন নতুন যেসব অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে সেটিকে অপরাধতত্ব হিসেবে ধরে নিয়ে এর বিজ্ঞানসম্মত গবেষণা প্রয়োজন। আইন প্রয়োগ বা বিচারের পাশাপাশি অপরাধের সামাজিক, সাংস্কৃতিক এবং মনস্তাত্ত্বিক কারণগুলো খুঁজে বের করে এর উপশম ঘটাতে হবে।

মূল‌্যবোধের অবক্ষয়ের জন‌্য সামাজিক প্রতিষ্ঠানগুলোর দুর্বল হয়ে পড়াকে দায়ী করেন তিনি।

“পরিবার হচ্ছে শিক্ষার মূল কাঠামো। এরপর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন, প্রতিষ্ঠানগুলো মূল্যবোধ তৈরি করত। কিন্তু এখন পরিবার-সমাজের যোগসূত্রগুলো দুর্বল হয়ে পড়েছে। একে সমুন্নত করতে হবে।”

আনিসুল হক বলেন, “আমরা দেখেছি শত শত বছর ধরে শাস্তি দিয়েও অপরাধ দমানো যায়নি, যাচ্ছে না। আজকের পৃথিবীতে নতুন নতুন অপরাধ দেখছি। যা এক সময় চিন্তাও করতে যেত না।”

বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনাকে উদাহরণ হিসেবে টেনে তিনি বলেন, “সাইবার অপরাধ বলে নতুন একটি অপরাধের সৃষ্টি হয়েছে। এর জন্য অভিনব আইন তৈরি করা প্রয়োজন।”

সাইবার অপরাধ দমনে দেশীয় আইন ও বিচার কাঠামোর পাশাপাশি আন্তর্জাতিক যোগাযোগ গড়ে তোলার উপরও জোর দেন আইনমন্ত্রী।

অনুষ্ঠানে মূল প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন ‘বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ক্রাইম অ্যান্ড জাস্টিস স্টাডিজ’র চেয়ারপারসন যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক মোকাররম হোসাইন।

তিনি বলেন, পরিবার, সমাজ, সংস্কৃতি থেকে একজন ব্যক্তি অপরাধ বা সহিংসপ্রবণ হয়ে ওঠে। তাই এর বিজ্ঞানসম্মত গবেষণা প্রয়োজন। অপরাধ দমনই নয়, একইসঙ্গে অপরাধের কারণ, ধরন-প্রকৃতি বিশ্লেষণ, বিভিন্ন তাত্ত্বিক দৃষ্টিকোণ থেকে অপরাধ সংঘটনের ব্যাখ্যা খুঁজে বের করতে হবে।

যুক্তরাষ্ট্রের ভালডোস্টা স্টেট ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক মিজানুর রহমান মিয়া ও সাউথ ক্যারোলাইনা স্টেট ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক শফিকুর রহমানও অনুষ্ঠানে আলোচনা করেন।


মতামত জানান :

 
 
 
কপিরাইট © ময়মনসিংহ প্রতিদিন ডটকম - সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত | উন্নয়নে হোস্টপিও.কম