কাজী রুমেল : ভৈরবের নির্ভীক সাংবাদিক মুস্তাফিজ আমিনের একটি প্রতিবেদন আশার আলো জাগিয়েছে নিরাশায় ডুবে যাওয়া শারীরিক প্রতিবন্ধী বর্ণালী শীলের জীবনে৷
সংবাদের পিছনে নিত্য ছুটে চলা মুস্তাফিজ আমিন গত ২৬ডিসেম্বর বর্ণালীকে নিয়ে একটি আবেগঘন প্রতিবেদন প্রকাশের পর একে একে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও বিভিন্ন অনলাইন পত্রিকায় ব্যাপক ভাবে আলোচিত হয় বর্ণালীকে নিয়ে ৷ বিষয়টি যাদের নজরে আসার কথা তারা ও কালবিলম্ব না করে ছুটেগিয়েছেন বর্ণালীর কাছে৷শুনেছেন বর্ণালীর আঁধার জীবনের এক চিলতে আলোর গল্প৷
ভৈরবের সাদেকপুর গ্রামের অদম্য শিক্ষার্থী, শারীরিক প্রতিবন্ধী বর্ণালী শীলের পাশে দাঁড়িয়েছে উপজেলা প্রশাসন।
শারীরিক প্রতিবন্ধকতার বাঁধা ডিঙ্গিয়ে মাস্টার্স ডিগ্রীসহ শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ এবং ডিপ্লোমা ইন লাইব্রেরিয়ান কোর্স সম্পন্ন করা বর্ণালীর বেঁচে থাকার জন্য চায় একটি চাকুরি। বিষয়টি জানতে পেরে ভৈরব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দিলরুবা আহমেদ ছুটে গিয়েছিলেন বর্ণালীদের বাড়িতে। এ সময় ভৈরব উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) চিত্রা শিকারী ছিলেন তাঁর সঙ্গী।
সেখানে তাঁরা বর্ণালীর শিক্ষাগত যোগ্যতার সকল সনদপত্র দেখে অভিভূত হন। ওর মেধা আর সংগ্রামে হয়েছেন আপ্লুত। তাঁরা বর্ণালীসহ ওর বৃদ্ধা মা, ভাই ও বৌদীসহ জনপ্রতিনিধি,শিক্ষক,শিক্ষানুরাগীদের সাথে দীর্ঘ সময় মতবিনিময় করেন। এ সময় তিনি বর্ণালীকে একজন “অদম্য সংগ্রামী নারী” হিসেবে আখ্যায়িত করেন। আশ্বাস দেন একটি চাকুরীর জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের।
অদম্য সংগ্রামী নারী বর্ণালীরা আলোকিত হবে,ছড়াবে আলো৷ এমনই আশা স্থানীয়দের৷