নিজস্ব প্রতিবেদক : রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ড. ওয়াজেদ রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং ইনস্টিটিউট ভবনের পাশাপাশি এক হাজার আসনের একটি ছাত্রী হলের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সকালে গণভবনে বসে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তিনি ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
এ সময় বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে উপাচার্য নূর উন নবী চৌধুরীসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন। এই প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের পাশাপাশি রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় ওই এলাকার জ্ঞান-বিজ্ঞানের বিস্তারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিরা রাখবে বলে আশা করেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমার নামে কিছু করতে চাই না। আমার কিছু প্রয়োজন নেই। আমি চাই বাংলাদেশের মানুষ ভালো থাকুক। তিনি বলেন, ‘এ দেশের মানুষ উন্নত জীবন পেতে পারে-এটাই আমার একমাত্র লক্ষ্য।… আমি কী পেলাম না পেলাম-এটা আমি চিন্তা করি না, আমার পরিবারের লোকেরাও চিন্তা করে না।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার রংপুর অঞ্চলে শিক্ষার পাশাপাশি অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বাড়াতে কাজ করছে। এর সুফল পাচ্ছে ওই এলাকার মানুষ। তিনি বলেন, ‘আমাদের সরকারের আট বছরের কর্মকাণ্ডে রংপুরের মানুষ মঙ্গা শব্দটা ভুলে গেছে। আল্লাহর রহমতে এখন সেখানে কোনো মঙ্গা নাই।… আমি অনেক দুর্গম এলাকায় গিয়ে দেখিছে হাড্ডিসার মানুষ। এখন আর তেমন মানুষ দেখা যায় না।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘রংপুর বিভাগ এক সময় মঙ্গা এলাকা ছিল। এই বিভাগটি এখন খাদ্য থেকে শুরু করে সার্বিক উন্নয়নে অগ্রগামী একটি বিভাগ হিসেবে গড়ে উঠবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছি। এই ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে হবে। এর পাশাপাশি জঙ্গিবাদ সন্ত্রাস থেকে ছাত্রছাত্রীদেরকে দূরে রাখতে হবে।’
২০১৩ সালে জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ফাঁসির রায়ের পর এবং ২০১৪ সালে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচালের চেষ্টার অংশ হিসেবে বিএনপি-জামায়াত জোটের আন্দোলনের সময় রংপুরে ব্যাপক নাশকতার বিষয়টি উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, এসব দেশবিরোধী তৎপরতা থেকে ছাত্রছাত্রীদেরকে দূরে রাখতে হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘ইসলাম শান্তির ধর্ম। এই ধর্মে জঙ্গিবাদের স্থান নেই। কে ভালো কে মন্দ তা বিচার করবে আল্লাহ। মানুষকে খুন করে ভালো কাজ কতে পারে আর মানুষ খুন করে কেউ বেহেশতে যেতে পারে না। এ ব্যাপারে শিক্ষক, অভিভাবক, শিক্ষার্থীকে সচেতন থাকতে হবে।’