সংবাদ শিরোনাম

 

যশোর প্রতিনিধি : যশোরের ঝিকরগাছার কানাইরালী গ্রামের পারুল বেগম মেয়ে খাদিজা আক্তার বিথী হত্যার বিচার দাবি করেছেন। তিনি অভিযোগ করেন, স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন নির্যাতন করে তার মেয়েকে হত্যা করেছে। এ ঘটনায়  পুলিশ মামলা নেয়নি। পরে ঘটনার তিন সপ্তাহ পর আদালতে মামলা করেছেন তিনি।

বুধবার দুপুরে প্রেসক্লাব যশোরে সংবাদ সম্মেলনে পারুল বেগম এ অভিযোগ করেন। এসময় তার স্বামী আতাউর রহমান, ছেলে ওলিয়ার রহমান, মেয়ে নুর নাহার সাথীসহ স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন।

লিখিত বক্তব্যে পারুল বেগম বলেন, ঝিকরগাছার বেনেয়ালি গ্রামের আবু তালেবের ছেলে সোহাগের সঙ্গে ছয় বছর আগে মেয়ে খাদিজা আক্তার বিথীকে বিয়ে দেয়া হয়। এরপর থেকে যৌতুকের জন্য বিথীর উপর নির্যাতন শুরু হয়। বাধ্য হয়ে প্রথম দফায় সোহাগের বিদেশ যাওয়ার জন্য ৩০ হাজার টাকা দেয়া হয়। বিদেশ থেকে বাড়ি এসে গাড়ি কেনার জন্য টাকার দাবিতে নির্যাতন করলে দেয়া হয় ৪০ হাজার। পরে আবার বিদেশ যেতে টাকা চেয়ে নির্যাতন শুরু করে।

এসময় জামাই সোহাগকে আরও এক লাখ ৫০ হাজার টাকা দেয়া হয়। এরপর সোহাগের বাবা আবু তালেব এসে পুত্রবধূ বিথীকে বাড়িতে নিয়ে যায়। বাড়ি নিয়ে যাওয়ার পর বিথীর কাছে থাকা স্বর্ণের গহনা নেয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু বিথী দিতে অস্বীকার করায় ২০১৬ সালের ১০ ডিসেম্বর ব্যাপক মারপিট করে। ১১ ডিসেম্বর কুইন্স হাসপাতালে ( রেজিঃ নং ০৭৬৭২) ভর্তি করা হয়। ১২ ডিসেম্বর চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিথী মারা যায়। এ খবরে পালিয়ে যায় তার স্বামী সোহাগ।

তিনি অভিযোগ করেন, এ ঘটনায় ঝিকরগাছা থানায় মামলা করতে গেলেও পুলিশ গ্রহণ করেনি। সর্বশেষ গত ২ জানুয়ারি যশোর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে মামলা করা হয়েছে।

আইনজীবী আবদুল লতিফ বুধবার বিকেল ৩টার দিকে মুফোঠোনে জানান, মামলার শুনানি হয়েছে। বিচারক এখনও অর্ডার দেননি।

ঝিকরগাছা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, তদন্ত) ফকির আজিজুর রহমান জানান, এ ঘটনা নিয়ে থানায় কেউ অভিযোগ করতে আসেনি।


মতামত জানান :

 
 
 
কপিরাইট © ময়মনসিংহ প্রতিদিন ডটকম - সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত | উন্নয়নে হোস্টপিও.কম