বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পাইলট ক্যাপ্টেন নওশাদ আতাউল কাইউমের মরদেহ বনানী কবরস্থানে মা নাসিমুস সুবা মুকুল ও তার বোন রাবেয়া খাতুন মিমুর কবরেই দাফন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ৩টা ১৫মিনিটে তার মরদেহ দাফন করা হয়।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, এক বছর বয়সে ১৯৮০ সালে মারা যান তার বোন রাবেয়া। ওই বোনের কবরে ২০১২ সালে তার মাকেও সমাহিত করা হয়। আর আজ তাদের কবরে নওশাদকে সমাহিত করা হলো।
নওশাদের বাবার বন্ধু ক্যাপ্টেন আব্দুল মাজিদ বলেন, আজকে বিকেল ৩টায় বনানী কবরস্থানে তার দ্বিতীয় জানাজা হয়েছে। জানাজা শেষে তার মায়ের কবরে সমাহিত করা হয়।
নওশাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে শেষ মুহূর্তে আসেন চিত্রনায়ক ফেরদৌস। তিনি বলেন, ওর জানাজায় অংশ নিতে পারিনি। তাই এখানে আসছি।
এর আগে বৃহস্পতিবার (২ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা ১০ মিনিটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিজি-০২৬ ফ্লাইটে ক্যাপ্টেন নওশাদ আতাউল কাইউমের মরদেহ ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছায়।
নওশাদের মরদেহ বহনকারী ফ্লাইটটি রানওয়েতে অবতরণের আগে সেখানে উপস্থিত ছিলেন সহকর্মী পাইলটরা। প্রয়াত সহকর্মীর মরদেহ ফ্লাইট থেকে নিজেরাই নামিয়ে আনেন।
উল্লেখ্য, গত ৩০ আগস্ট দুপুরে মারা যান ক্যাপ্টেন নওশাদ। পরে তার মরদেহ নাগপুরের কিংসওয়ে হাসপাতালের মর্চুয়ারিতে ছিল।
এর আগে ২৭ আগস্ট সকালে ওমানের মাস্কাট থেকে শতাধিক যাত্রী নিয়ে বিজি-০২২ ফ্লাইটটি নিয়ে ঢাকা আসার পথে ভারতের আকাশে থাকা অবস্থায় ক্যাপ্টেন নওশাদ অসুস্থ বোধ করেন। সঙ্গে সঙ্গেই তিনি কলকাতার এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের (এটিসি) কাছে ফ্লাইটটিকে জরুরি অবতরণের অনুরোধ জানান। একই সময় তিনি কো-পাইলটের কাছে ফ্লাইটের নিয়ন্ত্রণ হস্তান্তর করেন। কলকাতার এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল ফ্লাইটটিকে নিকটস্থ নাগপুর বিমানবন্দরে অবতরণ করার নির্দেশ দিলে কো-পাইলট ক্যাপ্টেন মুস্তাকিম ফ্লাইটটি অবতরণ করান।
ফ্লাইটটি অবতরণের পর ক্যাপ্টেন নওশাদকে নাগপুরের কিংসওয়ে হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে দুই দিন চিকিৎসার পর অবস্থার অবনতি হলে ২৯ আগস্ট তাকে হাসপাতালের সার্জিক্যাল ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (এসআইসিইউ) ভর্তি করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।