ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনে কর্মকর্তাদের বের করে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। রোববার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে অন্তত দেড়শ যুবক ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনে প্রবেশ করেন বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন। দলটি সিটি করপোরেশনের দ্বিতীয় তলা থেকে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইউসুফ আলীকে বের করে দেন। সিটি করপোরেশনের অন্যান্য কক্ষগুলোতে ঢুকে কর্মকর্তাদের বের হয়ে যেতে বলা হয়। কক্ষের দরজা গুলোতে তালা ঝুলিয়ে দিয়ে নেওয়া হয় চাবি। করপোরেশনের প্রধান গেইটসহ বিভিন্ন গেটে নতুন ঝুলিয়ে দেওয়া হয়।
এর আগে রোববার সকালে সিটি করপোরেশনের মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ইকরামুল হক টিটু সিটি করপোরেশনে অফিস করেন। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে শুরু হয় অসন্তোষ। রোববার বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ময়মনসিংহে নেতৃত্ব দেওয়া সমন্বয়কসহ শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে সিটি করপোরেশনে যায়। কিন্তু সে সময় সিটি করপোরেশনের মেয়র ইকরামুল হক টিটু কার্যালয় ছিলেন না।
পরে তারা জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার কার্যালয়ে গিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। একই সঙ্গে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সদর আসনের এমপি মোহিত রহমান শান্ত ও সিটি মেয়র ইকরামুল হক টিটুকে গ্রেপ্তারের দাবি জানায়।
তারা জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে পুলিশ সুপারের কাছে গিয়ে ময়মনসিংহে ছাত্র হত্যাকান্ডের ঘটনায় মামলা সম্পর্কে জানতে চান এবং সদর আসনের সদ্য সাবেক সংসদ সদস্য ও নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোহিত উর রহমান শান্ত, নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সিটি মেয়র ইকরামুল হক টিটুসহ আওয়ামী লীগ নেতাদের দায়ী করে গ্রেপ্তার দাবি করেন।
এ সময় পুলিশ সুপার মাছুম আহাস্মদ ভূঞা বলেন, ঘটনায় যারা জড়িত তাদের শানাক্ত করে দ্রুত গ্রেপ্তার করার আশ্বাস দেন। কিন্তু শিক্ষার্থীরা পুলিশ সুপার কার্যালয় ছেড়ে যাবার আগে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সিটি করপোরেশনের সহকারী সচিব আমিনুল ইসলাম জাহাঙ্গীর বলেন, কারা এ ধরণের ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের চিনতে পারিনি।