ভোলায় রেমালের তান্ডবে নিহত ৩ : কয়েক হাজার ঘর-বাড়ি বিধ্বস্ত
জেলায় ঘূর্ণিঝড় রেমালের তান্ডবে নারী, শিশুসহ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার ভোররাতের দিকে লালমোহন, দৌলতখান ও বোরহান উদ্দিন উপজেলায় ঘর চাপায় তাদের মৃত্যু হয়।
নিহতরা হলেন, মনেজা খাতুন (৫৪), মাইসা (৪) ও জাহাঙ্গীর (৫০)। এছাড়া ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ৭ হাজার ৬২৩ টি বাড়িঘর আংশিক ও সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের কন্ট্রোল রুমের দায়িত্বে থাকা জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন বাসস’কে বলেন, রাতে লালমোহন উপজেলার চরউমেদ ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডে তীব্র বাতাসে ঘর চাপায় মনেজা খাতুন মারা যান। এছাড়া একই সময় দৌলতখান পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডে ঘরের উপর গাছ চাপায় মাইশা (৪) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়। বোরহান উদ্দিন উপজেলার সাচরা ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের বাথানবাড়ি গ্রামের জাহাঙ্গীর (৫০) এর মৃত্যু হয় ঘরের উপর গাছ চাপা পড়ে। নিহত প্রত্যেক পরিবারকে সরকারিভাবে ২৫ হাজার টাকা করে প্রদান করা হবে।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় রেমালের তান্ডবে জেলায় ২ হাজার বাড়িঘর সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয় ও ৫ হাজার ১৫৮ ঘরবাড়ি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে। তবে ক্ষয়ক্ষতির এই তালিকা আরো লম্বা হতে পারে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
জেলা সিভিল সার্জন ডা. কে এম শফিকুজ্জামান বাসস’কে বলেন, এই ঘূর্ণিঝড়ের দুর্গতদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে ৯৮ টি মেডিকেল টিম মাঠে কাজ করছে। ইতোমধ্যে চরফ্যাশন, লালমোহন ও মনপুরাসহ বিভিন্ন দুর্গত এলাকায় শতাধিক মানুষকে প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করা হয়েছে।
অন্যদিকে ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে রোববার সকাল থেকেই ঝড়ো হাওয়া বইছে উপকূলীয় জেলা ভোলায়। দুপুর থেকে গুড়ি -গুড়ি বৃষ্টি হলেও রাত থেকে ভারী বর্ষণ চলছে। সেই সঙ্গে তীব্র বাতাস বইছে। উত্তাল রয়েছে মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদী।
দ্বিতীয় দিনের মতো বন্ধ রয়েছে সব ধরনের নৌ-যান চলাচল। রোববার রাত থেকে বিদ্যুৎবিহীন রয়েছে জেলা বিশাল এলাকা। উত্তাল রয়েছে মেঘনা ও তেতুলিয়া নদী। পানি বৃদ্ধি পেয়ে তলিয়ে গেছে বিভিন্ন নিম্নাঞ্চল।