কাজী রুমেল, ভৈরব ময়মনসিংহ প্রতিদিন ডটকম : কিশোরগঞ্জের ভৈরবে আশ্রয়ন প্রকল্পের ভূমিহীনদের হাতে দলিল তুলে দিলেন কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসক মো: আজিমুদ্দিন বিশ্বাস।
৩০ জানুয়ারি সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ভৈরব উপজেলার কালিকাপ্রসাদ ইউনিয়নের ছিদ্দিরচর বাজার এলাকায় অবস্থিত ছিদ্দিরচর আশ্রয়ন প্রকল্পে বসবাসকারী ভুমিহীন পরিবারের মাঝে আনুষ্ঠানিকভাবে উক্ত কবুলত ও নামজারি খতিয়ান হস্তান্তর করা হয়।
২০০২-২০০৪ সালে ছিদ্দিরচর আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় ৭০টি ভূমিহীন পরিবারকে ঘর নিমার্ণ করে দেওয়া হয় কিন্তু বিভিন্ন জটিলতার কারণে আশ্রয়ণ প্রকল্পে বসবাসরত পরিবারকে ভুমির অধিকার হিসেবে দলিল হস্তান্তর করা যায়নি। বসবাসকৃত সত্তরটি ভুমিহীন পরিবারের মধ্যে ৩৪টি পরিবারের মাঝে ভৈরব উপজেলা নির্বাহী অফিসার দিলরুবা আহমেদের সভাপতিত্বে অনুৃষ্ঠিত কবুলত ও নামজারি খতিয়ান হস্তান্তর অনুষ্ঠানে কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসক উক্ত দলিল হস্তান্তর করেন।
এসময় বক্তব্য রাখেন ভৈরব উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভুমি) শ্রীমতি চিত্রা শিকারি, কালিকাপ্রসাদ ইউপি চেয়ারম্যান মো: ফারুক মিয়া।
অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কিশোরগঞ্জের সহকারী কমিশনার মো. শরীফুল আলম, ভৈরব উপজেলা যুব উন্নয়ন অফিসার জলি বদন তৈয়বা, সমবায় অফিসার সন্ধ্যা রানী প্রমুখ।
জেলা প্রশাসক মো: আজিমুদ্দিন বিশ্বাস প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, বতমার্ন সরকার দেশের ১৬ কোটি মানুষের উন্নয়নে কাজ করছে। দেশে কোন মানুষ ভূমিহীন, আশ্রয়হীন, কর্মহীন থাকবেনা। যাদের ভূমি, থাকার ঘর ও কর্ম নেই সরকার তাদের সবদিক থেকে পূর্ণবাসন করছে। এসময় তিনি আরো বলেন আপনার সন্তানদের লেখা-পড়া, বাল্য বিয়ে রোধ ও মাদক পরিহার করতে হবে এবং যারা সরকারি খরচ করে ভূমির কবুলত ও নামজারি খতিয়ান করতে পারেনি তাদেরকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সেটি করে দেয়ার ঘোষণা দেন তিনি। পরে জেলা প্রশাসক আজিমুদ্দিন বিশ্বাসসহ অন্যান্য অতিথিরা আশ্রয়ন ও আবাসন এলাকা পরিদর্শন করেন এবং বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের আশ্বাস প্রদান করেন।
উল্লেখ্য, ছিদ্দিরচর আশ্রয়ন ও আবাসন প্রকল্পের ৭০টি পরিবার বসবাসের অধিকার পেলেও ভূমির মালিকানা থেকে তারা এতোদিন বঞ্চিত ছিল। বর্তমান উপজেলা নির্বাহী অফিসার দিলরুবা আহমেদ ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শ্রীমতি চিত্রা শিকারী উদ্যোগ নেয় উক্ত ভুমিহীন পরিবার গুলোকে তাদের অধিকারের দলিল হস্তান্তরের। এ লক্ষে প্রশাসনের উদ্যোগে প্রস্তুুত করা হয় কবুলত ও নামজারি খতিয়ান। অপরদিকে সম্প্রতি আগানগর ইউনিয়নের নবীপুর আশ্রয়ন প্রকল্পের ৭০টি পরিবারের মাঝে কুবলত ও নামজারি খতিয়ান হস্তান্তর করা হয়।