নিজস্ব প্রতিবেদক : স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, ভিশন ২০২১ ও ২০৪১ অর্জনে দক্ষ ও প্রশিক্ষিত জনগোষ্ঠীর বিকল্প নেই। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম ও ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত আয়ের দেশে পরিণত করতে সব ক্ষেত্রে প্রশিক্ষিত ও দক্ষ জনগোষ্ঠী তৈরি করার বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
সোমবার স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে বঙ্গবন্ধু দারিদ্র্য বিমোচন ও পল্লী উন্নয়ন একাডেমি (বাপার্ড), গোপালগঞ্জ-এর পরিচালনা বোর্ডের প্রথম সভায় সভাপতির বক্তৃতায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে এলজিআরডি ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মো. মসিউর রহমান রাঙ্গাঁ, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব আবদুল মালেক, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সচিব ড. প্রশান্ত কুমার রায়, বাপার্ড-এর ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক আনন্দ চন্দ্র বিশ্বাস (অতিরিক্ত সচিব)সহ বোর্ডের সদস্য ও কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি সম্মান থেকে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বাপার্ড। বাপার্ড বিভিন্ন গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা ও গুণগত প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জনগণের জীবনমান উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে।
তিনি সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রা ও কর্মপদ্ধতি প্রণয়নের মাধ্যমে বাপার্ড-এর কার্যক্রম পরিচালনার এবং প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুত প্রকল্প ‘বঙ্গবন্ধু দারিদ্র্য বিমোচন প্রশিক্ষণ কমপ্লেক্স’-এর দ্রুত বাস্তবায়নেরও নির্দেশ দেন।
প্রতিমন্ত্রী মো. মসিউর রহমান রাঙ্গাঁ বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে প্রতিষ্ঠিত এ একাডেমি যাতে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জনগোষ্ঠীর ভাগ্যোন্নয়নে সহায়ক ভূমিকা পালন করে সেভাবে প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে কাজ করতে হবে।
উল্লেখ্য, পূর্বতন বিআরডিবি ট্রেনিং একাডেমী ২০১২ সালে বাপার্ড নামে যাত্রা শুরু করে। দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের দারিদ্র বিমোচন ও জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে ১৬ নভেম্বর ২০১১ তারিখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাপার্ড-এর ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন।
বর্তমানে বাপার্ড সম্প্রসারণ ও আধুনিকায়নে মার্চ, ২০১০ হতে জুন, ২০১৮ মেয়াদে ৩২৬ কোটি ৮৪ লাখ ৭১ হাজার টাকা ব্যয়ে প্রকল্প কাজ বাস্তবায়িত হচ্ছে।