ময়মনসিংহের ভালুকায় বাসের ভিতরে কিশোরী (১৪) ধর্ষণের মামলায় চালক হেলপারসহ তিনজনকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। কিশোরী গার্মেন্টস কর্মী ছিলেন।
মঙ্গলবার (১৭ আগস্ট) বিকালে গ্রেফতারকৃত তিন জনকে চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হলে বিচারক ইমাম হাসান তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আসামিরা হলো, মায়ের দোয়া বাসের চালক রহিম মিয়া (৩০), হেলপার মামুন মিয়া (২৫) ও আশরাফ আলী (২২)।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কোর্ট ইন্সপেক্টর প্রসূন কান্তি দাস জানান, গ্রেফতারকৃত তিনজন আদালতে ধর্ষণের সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। আদালত তাদেরকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এর আগে রবিবার (১৫ আগস্ট) ১০ টার দিকে ময়মনসিংহ সদরের চুরখাই এলাকায় মহাসড়কের কদ্দুস মিয়ার গ্যারেজের পাশে বাসের ভিতরে এ ঘটনা ঘটে।
পরদিন সোমবার (১৬ আগস্ট) রাতে ভালুকা থানায় ওই গার্মেন্টস কর্মীর বড় বোন বাদী হয়ে বাসের চালক হেলপারসহ তিনজনকে আসামি করে ভালুকা থানায় মামলা দায়ের করেন।
এ বিষয়ে ভালুকা থানার ওসি (তদন্ত) মেহেদী হাসান জানান, মামলা দায়েরের পর অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেফতার করে আদালতের নির্দেশে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। ভিক্টিমকে ডাক্তারি পরীক্ষা করানোর জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেসনিক বিভাগে পাঠানো হয়েছে।
মামলার বরাত দিয়ে তিনি বলেন, গত রবিবার রাত সাড়ে ৮ টার দিকে ভালুকা সিডষ্টোর বাজার এলাকা থেকে “মায়ের দোয়া” বাসের হেলপার চালকসহ তিনজন পূর্ব পরিচয়ের সূত্র ধরে ওই গার্মেন্টস কর্মীকে তাদের খালি বাসে তুলে।
পরে সেখান থেকে ময়মনসিংহের সদর উপজেলার চুরখাই এলাকায় মহাসড়কের পাশে বাস দাড় করিয়ে কদ্দুসের গ্যারেজের পাশে এনে রাত সাড়ে ১০টার দিকে বাসটি থামিয়ে বাসের ভিতরে চালক রহিম মিয়া (৩০) ও হেলপার মামুন মিয়া (২৫) ও আশরাফ আলী (২২) সারারাত পালাক্রমে ধর্ষণ করে।
পরের দিন সকালে অসুস্থ অবস্থায় গাড়ীর ড্রাইভার রহিম মিয়া ওই কিশোরী মেয়েটিকে তাদের জামিরদিয়া এলাকায় পৌঁছে দেয়। বাসায় ফিরে ভিক্টিমের বড় বোনকে বিষয়টি জানালে ভালুকা থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলার পর ওই দিন রাতে অভিযান চালিয়ে পুলিশ তিনজনকে গ্রেফতার করে।