নিজস্ব প্রতিবেদক : নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনে কর্মপদ্ধতি নির্ধারণে দেশের বিশিষ্ট ১২ নাগরিকের সঙ্গে সার্চ কমিটির বৈঠক শুরু হয়েছে।
সোমবার (৩০ জানুয়ারি) বিকেল সোয়া ৪টার দিকে জাজেস লাউঞ্জে এ বৈঠক শুরু হয়। তবে বিশিষ্ট নাগরিকদের মধ্যে সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার ড. এ টি এম শামসুল হুদা বৈঠকে অনুপস্থিত রয়েছেন। অবশ্য বৈঠকে যোগদানের উদ্দেশে তিনি রওয়ানা হয়েছেন। কিন্তু রাস্তায় ট্রাফিক জ্যামে আটকা পড়ায় পৌঁছতে দেরি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত রেজিস্টার (প্রশাসন ও বিচার) সাব্বির ফায়েজ।
১২ নাগরিক হচ্ছেন-সাবেক বিচারপতি আব্দুর রশিদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. এ কে আজাদ চৌধুরী ও এস এম এ ফায়েজ, অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা সুলতানা কামাল, সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার এটিএম শামসুল হুদা, সাবেক নির্বাচন কমিশনার ছহুল হোসাইন, সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার (অব.) সাখাওয়াত হোসেন, স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ ড. তোফায়েল আহমেদ, নির্বাচন বিশেষজ্ঞ ড. বদিউল আলম মজুমদার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক আবুল কাশেম ফজুলল হক ও সাবেক আইজিপি নুরুল হুদা।
শনিবার (২৮ জানুয়ারি) জাজেস লাউঞ্জে অনুষ্ঠিত সার্চ কমিটির প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকে এ ১২ জন বিশিষ্ট নাগরিকের নাম ঘোষণা করা হয়। এসব নাগরিকের সঙ্গে সোমবার (৩০ জানুয়ারি) বৈঠক করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এছাড়া রাষ্ট্রপতির সঙ্গে যে ৩১টি রাজনৈতিক দল সংলাপে অংশ নিয়েছে তাদেরকে ৩১ জানুয়ারি বেলা ১১টার মধ্যে নতুন নির্বাচন কমিশনের জন্য ৫ জন করে নামের প্রস্তাব দিতে চিঠি পাঠানোর বিষয়েও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বৈঠকে। প্রস্তাবিত নাম মন্ত্রিপরিষদের অতিরিক্ত সচিবের (প্রশাসন ও বিধি) কাছে জমা দিতে হবে।
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ২৫ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে ৬ সদস্যের সার্চ কমিটি গঠন করেন।
কমিটির অপর সদস্যরা হলেন- হাই কোর্ট বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাদিক, মহা হিসাব নিরীক্ষক (সিএজি) মাসুদ আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য শিরীন আখতার। সার্চ কমিটিকে ১০ কার্যদিবসের মধ্যে নতুন নির্বাচন কমিশনের জন্য নাম প্রস্তাবের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তাদের সুপারিশ থেকেই অনধিক পাঁচ সদস্যের ইসি নিয়োগ দেবেন রাষ্ট্রপতি।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এই কমিটির কাজে সাচিবিক সহায়তা দিচ্ছে।