নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল : বরিশালের উজিরপুর ও আগৈলঝাড়ায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় দুইজন এবং হিজলায় নৌযানের চাপায় একজন নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার রাতে এবং বুধবার সকালে এসব দুর্ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, উজিরপুর উপজেলা শহরের পুরনো কর্মস্থল মেজর এমএ জলিল নূরানি মাদরাসায় একটি অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ শেষে মহাসড়কের পাশ দিয়ে হেটে একই উপজেলার হস্তিশুণ্ডু নূরানি মাদরাসায় বর্তমান কর্মস্থলে যাচ্ছিলেন মাওলানা আব্দুল ওহাব (৫০)। পথিমধ্যে মহাসড়কের নতুন শিকারপুর এলাকা অতিক্রমকালে মঙ্গলবার রাত পৌনে ১১টার দিকে টার দিকে একটি পরিবহনের ধাক্কায় গুরুতর আহত হন তিনি ।
স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে বরিশাল শেরে-ই বাংলা মেডিকেলে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত মাওলানা আব্দুল ওহাবের বাড়ি পটুয়াখালী জেলা সদরের কালিকাপুর এলাকায়।
উজিরপুর থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) গোলাম ছরোয়ার এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেন বলেন, ঘাতক পরিবহনটিকে শনাক্ত করার চেস্টা চলছে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
অপরদিকে, বুধবার বেলা ১১টার দিকে গৌরনদী-পয়সারহাট সড়কের পাশে মোটর সাইকেলের ধাক্কায় এক কৃষক নিহত এবং মোটরসাইকেল চালক আহত হন।
প্রত্যক্ষদর্শীর বরাত দিয়ে স্থানীয় বাসিন্দা মাহবুবুল আলম জানান, একই উপজেলার সোমাইরপাড় গ্রামের মহানন্দ হালদারের ছেলে ইন্দ্রজিৎ হালদার (৬০) বড় মাগরা গ্রামে তার কৃষি জমিতে কাজ করে সড়কের পাশে রোদে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। এ সময় পয়সা গ্রামের পলাশ বখতিয়ারের ছেলে মেহেদী হাসান দ্রুত গতিতে একটি মোটরসাইকেল চালিয়ে ওই এলাকা অতিক্রম করছিলেন। হঠাৎ মোটরসাইকেলটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রোদ পোহানোরত ইন্দ্রজিৎকে ধাক্কা দেয়।
এতে মোটরসাইকেলটি পড়ে গেলে চালক এবং ওই কৃষক গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক ইন্দ্রজিৎকে মৃত ঘোষণা করেন এবং চালক মেহেদীকে বরিশাল শেরে-ই বাংলা মেডিকেলে প্রেরণ করেন।
আগৈলঝাড়া থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনিরুল ইসলাম জানান, সড়ক দুর্ঘটনায় একজন নিহত হওয়ার ঘটনায় থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। পুলিশ মোটরসাইকেলটি আটক করেছে। অভিযোগ তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
এদিকে, জেলার হিজলা উপজেলার দুর্গাপুর লঞ্চঘাটে যাত্রীবাহী লঞ্চের চাপায় আহত আবুল হোসেন (৬০) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে দুর্ঘটনার আহত হওয়ার পর তাকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেলে ভর্তি করা হলে ওই দিন গভীর রাতেই তার মৃত্যু হয়। আবুল হোসেন ওই উপজেলার কাউরিয়ার পূর্ব কোড়ালিয়া এলাকার হাফেজ হাওলাদারের ছেলে এবং তিনি ঢাকায় ব্যবসা করতেন।
হিজলা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মাসুদুজ্জামান জানান, লঞ্চে উঠতে গিয়ে এক ব্যক্তি আহত হওয়ার পর বরিশালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে। এ বিষয়ে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।