ময়মনসিংহ-৪ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য মোহিত উর রহমান শান্ত নিজের আগাম ইস্তফার ঘোষণা দিয়েছেন। দলীয় বিরোধের জের ধরে সোমবার (১৩ মে) ভোরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে এ ঘোষণা দেন তিনি। গত সংসদ নির্বাচনের ভোট নিয়ে বিতর্ক তুলে বক্তব্যের জেরে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এম এ কুদ্দুসের বিচার চেয়ে নিজের ইস্তফার ঘোষণা দেন এ এমপি। এ নিয়ে স্থানীয় রাজনীতিতে তোলপাড় শুরু হয়েছে।
ফেসবুকে একটি ভিডিও পোস্ট করেন ময়মনসিংহ নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোহিত উর রহমান শান্ত। সেখানে বক্তব্য দিতে শোনা যায় জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এম এ কুদ্দুসকে। তিনি বলেন, ‘আমিনুল হক শামীম (জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি) বিগত নির্বাচনে তিন মাস কাজ করে সদরের প্রতিটি প্রান্তে প্রতিটি ঘরে নেতা হিসেবে পরিচয় লাভ করেছেন। আপনারা গত নির্বাচনে ট্রাক মার্কাকে বিপুল ভোটে জয়ী করেছেন।
আমিনুল হক শামীম ভোটে নির্বাচিত হয়েছিলেন; কিন্তু বিকেলে অদৃশ্য হাতের ইশারায় তাঁকে ফেল করানো হয়েছে। ১ লাখ ৩ হাজার ভোট, এটি বাড়ির কাছের কথা নয়। ৫০ হাজার ভোট এদিক-সেদিক করে ফেলছে, না হলে এই ভদ্রলোক (আমিনুল হক শামীম) পাস করেন।’
প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে নিজের স্ট্যাটাসে সদর আসনের এমপি মোহিত উর রহমান শান্ত লেখেন, ‘গোটা পৃথিবী যেখানে আপনার প্রশংসায় পঞ্চমুখ, একটি অবাধ এবং সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে জয়লাভের পর সবাই যখন আপনাকে অভিনন্দন জানিয়ে আপনার সঙ্গে কাজ করতে উন্মুখ তখন ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, সন্তানের রক্তের সঙ্গে আপস করা, সন্তানের খুনিদের সঙ্গে আপস করা এম এ কুদ্দুস সেই অবাধ, সুষ্ঠু আর নিরপেক্ষ নির্বাচনকে, আমাদের প্রাণপ্রিয় আপনাকে বিতর্কিত করার ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।
বাকস্বাধীনতার অর্থ মিথ্যাচার হতে পারে না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আপনার কাছে আমি অগ্রিম ইস্তফা দিয়ে রাখলাম। ঘটনার সত্যতা যাচাই করে আপনি হয় আমার ইস্তফা গ্রহণ করবেন এবং জড়িত প্রশাসনের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে বরখাস্ত করবেন, না হয় ব্যক্তিস্বার্থে বিরোধীদের হাতে সরকারকে প্রশ্নবিদ্ধ করার খোরাক তুলে দেওয়ার জন্য এম এ কুদ্দুসের দৃষ্টান্তমূলক বিচার করবেন।’
নিজের বক্তব্যের বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এম এ কুদ্দুসের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
Leave a Reply