ফের সেঞ্চুরির পথে পেঁয়াজ, মাছের দাম নিম্নবিত্তের নাগালের বাইরে
আবারও ঝাঁজ বেড়েছে পেঁয়াজের। প্রায় সেঞ্চুরির কাছাকাছি পেঁয়াজের দাম। চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে আলু। তেলাপিয়া কিংবা পাঙাশ, কার্ফু কিংবা ব্রিগেড সব মাছের দামই বাড়ন্ত। তারপরও মধ্যবিত্তের বাজারের ব্যাগে কমবেশি মাছ উঠলেও নিম্ন মধ্যবিত্তের দীর্ঘশ্বাস মাছ বাজারে হাঁক-ডাকেই মিলিয়ে যাচ্ছে। একটু বড় সাইজের পাঙাশ মাছ কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ২০০-২৫০ টাকায়, তেলাপিয়া বিক্রি হচ্ছে ১৮০-২২০ টাকায়। মধ্যবিত্ত শ্রেণি মাছের স্বাদ নিতে পারলেও নিম্নবিত্ত কিংবা শ্রমজীবী মানুষজন কেনার কথা চিন্তাও করতে পারছেন না।
আজ শুক্রবার (৩১ মে) রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, দেশের মানুষের প্রধান সবজি প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৫৫-৬৫ টাকা। আমদানির পরও উল্টো বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮৫-৯০ টাকা। আবারও ২০০ টাকা ছাড়িয়েছে কাঁচা মরিচের দাম।
বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রতি কেজি বড় রুই মাছ ৩০০-৩৫০ টাকা, মাঝারি রুই ২৬০-২৯০ টাকা, রুই মাছের পোনা ২০০-২৫০ টাকা, কাতলা ৩০০-৩৫০ টাকা, বড় পাঙাশ ২০০-২৫০, ছোট পাঙাশ ১৫০-২০০ টাকা, পাবদা (আকারভেদে) ৪০০-৬০০ টাকা, গলদা চিংড়ি (আকারভেদে) ৬৫০-৭৫০ টাকা ও শিং মাছ (দেশি ও থাই) ৩০০-৫৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আবার ছোট, মাঝারি, বড় ইলিশ যথাক্রমে ৭০০-৮০০, ১০০০-১৩০০ ও ১৪০০-২০০০ টাকা কেজি দামে বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া বিভিন্ন ছোট মাছও বিক্রি হচ্ছে বাড়তি দামে। কাঁচকি মাছ ৩০০ টাকা, মলা মাছ ৩০০-৪০০ টাকা, কৈ মাছ ৩৬০ টাকা কেজি দামে বিক্রি হচ্ছে।
অপরদিকে সামুদ্রিক মাছের মধ্যে সুরমা, রুপচাঁদা, লাল কোরাল এবং বাটা মাছ ২০০-১২০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। তবে বাজারভেদে এসব মাছের দাম ১০-৩০ টাকা পর্যন্ত কমবেশি হতে দেখা গেছে।
বাজারে দেখা যায় ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ২১০-২১৫ টাকা। যা কয়েক সপ্তাহ ধরে ২২০-২৩০ টাকা দামে বিক্রি হয়ে আসছিল। এ ছাড়া সোনালি পাকিস্তান জাতের মুরগী ৩৫০-৩৬০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। লেয়ার মুরগি লাল ৩৫০-৩৬০, সাদা ২৭০-২৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকার উপরে।
এদিকে আবারও উত্তাপ ডিমের বাজারে। রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৫০-১৫৫ টাকায়। হালি বিক্রি হচ্ছে প্রায় ৫০-৫৫ টাকা। যা কয়েক সপ্তাহ আগেও ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছিল।
সবজির বাজারে লম্বা বেগুন প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০ টাকা, গোল বেগুন ৭০-৮০ টাকা, টমেটো ৬০-৭০, করলা ৮০-৯০ টাকা, চিচিঙ্গা ৭০-৮০ টাকা, ঢেঁড়শ ৪০-৫০ টাকা মান ও সাইজভেদে লাউ ৬০-৮০ টাকা, শশা ৫০-৬০ টাকা, ছোট সাইজের মিষ্টি কুমড়া ১০০-১২০ টাকা, জালি ৫০-৬০ টাকা, পেঁপে ৪০-৫০, কাঁচা কলা ডজন ৯০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। যা গেল সপ্তাহজুড়ে প্রায় একই দামে বিক্রি হয়েছে।
এ ছাড়া শাকের মধ্যে পাট শাক ১৫-২০ টাকা, কলমি শাক ১০-১৫ টাকা, পালং ১০-১৫ টাকা, লাউ শাক ৩০-৪০ টাকা, লাল শাক ১৫ টাকা, পুঁই শাক ৩০-৪০ টাকা আঁটি বিক্রি হচ্ছে। তবে বাজারে দোকানের তুলনায় ভ্যানে কিংবা ফুটপাতের দোকানগুলোয় প্রতিটি সবজির দাম ৫-১০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে।