নিজস্ব প্রতিবেদক, মাদারীপুর : নৌ-পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান বলেছেন, কাঁঠালবাড়ীতে ফেরিঘাট স্থানান্তরের ফলে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলবাসীর যাতায়াতে পরিবহন খরচ ও সময় সাশ্রয় হবে। ফেরির ফ্রিকোয়েন্সি বেড়ে যাবে। জনগণের দুর্ভোগ অনেকটা লাঘব হবে। শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী রুটে ১৮টি ফেরি দিয়ে যাত্রী ও যানবাহন পারাপারা আরো সহজ হবে।
রোববার বেলা সাড়ে ১১টায় মাদারীপুরের শিবচরে ইলিয়াছ আহমেদ চৌধুরী কাঁঠালবাড়ী ফেরিঘাট উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চেয়ারম্যান এম মোজাম্মেল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো মধ্যে বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য নূর-ই-আলম চৌধুরী, সংসদ সদস্য বিএম মোজাম্মেল হক, সেতু বিভাগের সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব অশোক মাধর রায় এবং বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্পোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) চেয়ারম্যান প্রকৌশলী জ্ঞানরঞ্জন শীল।
বর্তমানে শিমুলিয়া থেকে কাওড়াকান্দি পর্যন্ত নৌ-পথের দূরত্ব প্রায় ১৩ কিলোমিটার। কাওড়াকান্দি নদী বন্দর কাঁঠালবাড়ী এলাকায় স্থানান্তরের ফলে নৌ-পথের দূরত্ব কমে দাঁড়াবে ৮ কিলোমিটারে অর্থাৎ মোট দূরত্ব প্রায় ৫ কিলোমিটার হ্রাস পাবে। এক্ষেত্রে নৌ-রুটে পরিবহন খরচ ও যাতায়াতের সময় দুই-ই বাঁচবে, যা দক্ষিণাঞ্চলের আপামর জনগণের জীবনযাত্রায় উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে।
উল্লেখ্য, কাঁঠালবাড়ী এলাকায় ঘাট স্থানান্তরের জায়গাটি সেতু কর্তৃপক্ষের অধিগ্রহণকৃত জায়গায় অবস্থিত। জায়গা ব্যবহারের লক্ষ্যে বিআইডব্লিউটিএ ও সেতু কর্তৃপক্ষের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।
ফেরিঘাটের সংযোগ সড়ক হিসেবে কাঁঠালবাড়ী থেকে বাংলাবাজার ও কাঁঠালবাড়ী থেকে জাজিরা পর্যন্ত বিদ্যমান রাস্তা ৬ কিলোমিটার উন্নয়ন ও প্রশস্তকরণ কাজ পদ্মা সেতু কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে সম্পন্ন করা হয়েছে। বিআইডব্লিউটিএ ১৫ কোটি টাকা ব্যয়ে কাঁঠালবাড়ী ঘাটের উন্নয়ন করেছে।