এবার গাজার হাসপাতালে ইজরায়েলের হামলা। এই হামলায় পাঁচ’শ ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে বলে গণমাধ্যমে খবর।
মঙ্গলবার গাজার আল-আহলি আরব হাসপাতালে হামলা চালায় ইজরায়েল। আল আহলি আরব হাসপাতালটিতে যুদ্ধে আহতদের চিকিৎসা চলছিল। ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, প্রায় ৫০০ জন প্রাণ হারিয়েছেন এই হামলায়।
গত ১০ দিন ধরে চলা যুদ্ধে আহত এবং ঘরছাড়া মানুষদের অনেকেই ওই হাসপাতালে আশ্রয় নিয়েছিলেন। ধ্বংসস্তূপের নীচে চাপা পড়ে রয়েছেন এখনও অনেকে। ইজরায়েলের এই হামলা ‘যুদ্ধপরাধ’ হিসাবে ব্যাখ্যা করেছে গাজা। এই হামলা প্রসঙ্গে ইজরায়েলের সামরিক মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি সাংবাদিকদের বলেন, “বিষয়টি নিয়ে খোঁজ নিচ্ছি আমরা। কিছুক্ষণ আগেই হামলাটি হয়েছে।
গত ১০ দিন ধরে চলছে ইজরায়েল-ফিলিস্তিনের মধ্যে যুদ্ধ। এই যুদ্ধে দুই দেশ মিলিয়ে ইতিমধ্যেই ৪০০০ জনের বেশি নিহত হয়েছেন। রোজই বাড়ছে সেই সংখ্যা। উত্তর ও মধ্য গাজ়ার বাসিন্দাদের ঘর ছাড়ার জন্য ‘সময়সীমা’ শেষ হলেও এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে স্থলপথে ইজরায়েলি সেনার গাজা অভিযান শুরু হয়নি। তবে মঙ্গলবারও দফায় দফায় বিমান এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়েছে গাজায়।
মঙ্গলবারই জাতিসংঘ দ্বারা পরিচালিত স্কুলেও হামলা চালিয়েছে ইজরায়েল। স্কুলটিতে যুদ্ধে ঘরছাড়া মানুষেরা আশ্রয় নিয়েছিলেন। সেই হানায় ছ’জনের প্রাণহানি ঘটেছে।
গাজার উপর বিধিনিষেধ ইতিমধ্যেই আরও কঠোর করেছে ইজরায়েল। ৩৬৫ বর্গকিলোমিটারের ওই ভূখণ্ডের ২৩ লক্ষ ফিলিস্তিনি বাসিন্দার পানি, খাবার, বিদ্যুৎ এবং গ্যাসের সরবরাহ বন্ধ করা হয়েছিল আগেই। সেখানে আন্তর্জাতিক ত্রাণসামগ্রী পাঠানোর উপরেও বিধিনিষেধ জারি করল ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সরকার।