নিজস্ব প্রতিবেদক : নারায়ণগঞ্জের সাত খুন মামলার রায় হলেও ফাঁসির রায় হওয়াই শেষ কথা নয়। এই রায় কার্যকর হলেই এ নিয়ে প্রতিক্রিয়া দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু।
সোমবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে দুদু এ কথা বলেন। ‘নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনের’ দাবিতে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয় জাতীয়তাবাদী দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের ব্যানারে।
নারায়ণগঞ্জের সাত খুনের ঘটনায় আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতা নুর হোসেন এবং র্যাবের সম্পৃক্ততার অভিযোগ উঠার পর থেকেই বিএনপি নেতারা এই বিচার নিয়ে তাদের সংশয়ের কথা বলে আসছিলেন। বিশেষ করে র্যাব-১১ এর সে সময়ের অধিনায়ক তারেক সাঈদ মোহাম্মদ ত্রাণমন্ত্রীর জামাতা হওয়ায় তিনি পার পেয়ে যাবেন বলে দাবি করে আসছিল দলটি।
কিন্তু সোমবার দুদুর এই বক্তব্যের কিছু আগেই ঘোষিত হয় সাত খুন মামলার রায়। এতে নুর হোসেন, তারেক সাঈদ মোহাম্মদসহ মোট ২৬ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়।
সাত খুন মামলার রায়ের বিষয়ে দুদু বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জের সাত খুনের মামলা দেশব্যাপী অনেক আলোচিত হওয়ার কারণ এই মামলার অন্যতম আসামি মন্ত্রীর মেয়ের জামাই। অনেকের বিশ্বাস ছিল অন্য মামলাগুলোর যে হাল হয় এই মামলারও তেমন হবে। কিন্তু এই মামলার রায়ে মানুষের প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে।’
দুদু বলেন, ‘এই রায় নিম্ন আদালতের, এখনও অনেক আদালত আছে। ফাঁসি কার্যকর হলেই মন্তব্য করা যাবে। তবে আমি মনে করি সকল অন্যায়েরই বিচার হওয়া প্রয়োজন।’
বিএনপি ক্ষমতায় আসলে সাংবাদিক সম্পতি সাগর সারওয়ার ও মেহেরুন রুন দম্পতিসহ সব হত্যার বিচার হবে বলেও ঘোষণা দেন দুদু।
‘নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন না হলে আন্দোলন’
নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে রাষ্ট্রপতির সংলাপ নিয়েও কথা বলেন বিএনপি নেতা। তিনি বলেন, ‘নিরপেক্ষ সার্চ কমিটি এবং নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে আমরা রাষ্ট্রপতির সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছি। রাষ্ট্রপতি যদি সিদ্ধান্ত দিতে ব্যর্থ হন, তাহলে বিএনপি রাজপথে আন্দোলনে নামবে।’
দুদু বলেন,‘শেখ হাসিনা তো অনেক উন্নয়নের কথাই বলেন। দেশের মানুষের জন্য এতো কিছু করলে নিরপেক্ষ নির্বাচন দিলে সমস্যা কিসে? সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য একটি মেরুদণ্ড সম্পূর্ণ নির্বাচন কমিশন দরকার। যারা যে কোন সমস্যা মোকাবেলা করতে পারে।
রাজধানীর ফুটপাত থেকে হকার উচ্ছেদেরও সমালোচনা করেন দুদু। বলেন, ‘উচ্ছেদ করার আগে তাদের নতুন স্থান ঠিক করে দেয়া উচিত। যেভাবে তাদের উচ্ছেদ করছে দেখে মনে হচ্ছে জোর যার মুল্লুক তার। আমরা চাই মানুষের চলার জন্য ফুটপাত ফাঁকা থাক। কিন্তু যারা এখানে ব্যবসা করছে তাদের জন্য ব্যবস্থা করা হোক।’
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব,সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, শহীদুল ইসলাম বাবুল, বিএনপির শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক হেলেন জেরিন খান প্রমুখ মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন।