নেত্রকোনায় পৃথক মামলায় দুজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়াও চার ব্যক্তিকে পাঁচ বছরের সাজা দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) বিকেলে নেত্রকোনা অতিরিক্ত দায়রা জজ-প্রথম আদালতের বিচারক এএফএম মারুফ চৌধুরী এ রায় দেন।
যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, জেলার পূর্বধলার জালশুখা গ্রামের কামাল হোসেন (৩৫) ও দুর্গাপুরের বারমারী লক্ষ্মীপুর গ্রামের মো. মমতাজ (৪৮)।
কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, হবিগঞ্জের চুনারোঘাট উপজেলার ইকরতলী গ্রামের মো. জামাল মিয়া (৩৪), শাকিব মিয়া (২৭), মো. বেলাল মিয়া (৫২) ও মো. ফিরোজ আহমেদ (২৫)।
মামলার রাষ্ট্রপক্ষের অতিরিক্ত কৌঁসুলি কমলেশ কুমার চৌধুরী জানান, ২০১৯ সালের ২২ এপ্রিল মো. মমতাজ ও তার স্ত্রী মালেকা বেগমকে জমি লিখে দেওয়ার কথা বলে ঢাকার বাসা থেকে দুর্গাপুরে নিয়ে আসেন। পরদিন সন্ধ্যায় পুলিশ বারমারী পাহাড় সংলগ্ন এলাকা থেকে ক্ষতবিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে দুদিন পর মামলা করে। তদন্ত শেষে ওই বছরের ২০ জুলাই আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়। ১২ জনের সাক্ষ্য শেষে আদালত বৃহস্পতিবার দুপুরে মো. মমতাজকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। একই সঙ্গে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়। অনাদায়ে আরও তিন মাসের জেল দেওয়া হয়।
আসামি পক্ষের আইনজীবী আবুল কাদির ভূঁইয়া জানান, রায়ে আমরা সন্তুষ্ট নই। রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে।
এদিকে ২০১৮ সালের ২৪ জুন সন্ধ্যায় শহরের কুড়পাড় এলাকায় পুলিশ ১৭০ গ্রাম হেরোইনসহ মাদক ব্যবসায়ী কামাল হোসেনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ওইদিন রাতে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করে। তদন্ত শেষে ওই বছরের ২৩ আগস্ট আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়। আটজনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে একই আদালত কামাল হোসেনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। একই সঙ্গে তাকে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। অনাদায়ে আরও তিন মাসের জেল দেওয়া হয়।
অপর দিকে ২০২৩ সালের ২৬ অক্টোবর রাতে মোহনগঞ্জ পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনের সড়ক থেকে ২৬ কেজি গাঁজাসহ জামাল মিয়া, শাকিব মিয়া, বেলাল মিয়া ও ফিরোজ আহমেদকে গ্রেফতার করা হয়। পরদিন পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করে। পরের বছরের ১৮ জানুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়। সাতজনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত প্রত্যেককে পাঁচ বছর করে সাজা দেন। একই সঙ্গে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।