নেত্রকোনা জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রবিউল আওয়াল শাওনসহ সাতজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) দিনগত রাতে বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এরমধ্যে রবিউলকে ময়মনসিংহ শহরের গাঙ্গিনাপাড় এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার অন্যরা হলেন, নেত্রকোনা সদর উপজেলার চল্লিশা ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক আবু জোবায়ের, একই ইউনিয়নের শ্রমিক লীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম, পূর্বধলা উপজেলার বিশকাকুনি ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম, দুর্গাপুর উপজেলার সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহিনুল ইসলাম, মোহনগঞ্জের সমাজ সহিলদের ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতা শফিকুল ইসলাম এবং বারহাট্টা উপজেলার নিশ্চিন্তপুর গ্রামের আওয়ামী লীগ কর্মী জাকির হোসেন।
ময়মনসিংহ কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মইনুদ্দিন বলেন, বুধবার সকালে শাওনকে নেত্রকোনা মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
নেত্রকোনা মডেল থানার ওসি কাজী শাহানেওয়াজ জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় নাশকতার ঘটনায় তার বিরুদ্ধে দুটি মামলা হয়। ওই মামলাগুলোতে শাওনকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
নেত্রকোনা জেলা ছাত্রলীগের কমিটি পূর্ণাঙ্গ হওয়ার আগে গত ৩০ জুলাই বিলুপ্ত ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে ২০২১ সালের ২৬ জুন রবিউল আওয়াল শাওনকে সভাপতি এবং সোবায়েল আহমেদ খানকে সাধারণ সম্পাদক করে জেলা ছাত্রলীগের এ আংশিক কমিটি গঠন করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের জয়-লেখক কমিটি। তিন বছর পূর্ণ হলেও জেলা কমিটি পূর্ণাঙ্গ করতে ব্যর্থ হয় শাওন-সোবায়েল। এতে জেলা ছাত্রলীগের অনেক নেতাকর্মী ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
এ বিষয়ে পুলিশ সুপার মির্জা সায়েম মাহমুদ বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গ্রেফতার ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা, স্থাপনা ভাঙচুর, লুটপাটসহ নাশকতার ঘটনা ঘটানোর অভিযোগ আছে। এসব ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে থানায় একাধিক মামলা আছে। গ্রেপ্তারদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। এসব মামলায় অন্য আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।