বৃহস্পতিবার, মার্চ ১৩, ২০২৫
বৃহস্পতিবার, মার্চ ১৩, ২০২৫

নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে জয় চায় টাইগাররা

২০১৩ সালের পর প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ সফরে নিউজিল্যান্ড। আজ থেকে ৫ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু করছে বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড। সিরিজের প্রথম ম্যাচেই কিউইদের বিপক্ষে সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে প্রথম জয়ের সেরা সুযোগ হিসেবে দেখছে আত্মবিশ্বাসী টাইগাররা।

এখন পর্যন্ত টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে ১০ বার মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ ও নিউজিল্যান্ড। সবগুলোতেই হেরেছে টাইগাররা। এর মধ্যে ঘরের মাঠে ২০০৩ সালের একমাত্র ম্যাচের সিরিজের হারও আছে। তবে ওয়ানডেতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ভালো পারফরমেন্স রয়েছে টাইগারদের।

ঘরের মাঠে ওয়ানডে ফরম্যাটে ২০১০ সালে চার ম্যাচের সিরিজ ও ২০১৩ সালে তিন ম্যাচের সিরিজে নিউজিল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করেছিলো বাংলাদেশ। ওয়ানডের মতো ফল টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটেও করার সুযোগ এখন বাংলাদেশের সামনে।

২০১৩ সালের পর কিউইদের প্রথম বাংলাদেশ সফর হলে এরমধ্যেই তিনবার নিউজিল্যান্ড সফর করেছে টাইগাররা। মূলত সীমিত ওভারের সিরিজই খেলেছে তারা। এ বছর তিনটি করে ওয়ানডে ও তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছে দুই দল। ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে আধিপত্য বিস্তার করতে পেরেছ বাংলাদেশ। তবে নিজেদের ডেরায় এখনো অপরাজিত নিউজিল্যান্ড।

সদ্য জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিন ম্যাচের সিরিজে ২-১ ব্যবধানে ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ৪-১ ব্যবধানে জয় পায় বাংলাদেশ। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম দ্বিপাক্ষিক সিরিজে এটিই ছিল বাংলাদেশের প্রথম জয়ের স্বাদ। সঙ্গতকারণেই নিজেদের সর্বশেষ দুই সিরিজ জয়ের কারণে বাংলাদেশ দলের আত্মবিশ্বাস এখন তুঙ্গে। এই দুই সিরিজের ফল ইঙ্গিত দিচ্ছে এই ফরম্যাটে দুর্বল থেকে ভালো দল হওয়ার পথে বাংলাদেশ।

টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ১০৭টি ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। জয় ৩৮টিতে আর হেরেছে তারা ৬৭টি ম্যাচে। আর দুটি ম্যাচের ফল হয়নি।

এদিকে মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাস দলে ফেরায় উজ্জীবিত হয়েছে বাংলাদেশ। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের মত উইকেট কঠিন হলেও, তাদের উপস্থিতি দলের ব্যাটিং লাইন-আপকে আলাদাভাবে সাহস জোগাবে।

বাংলাদেশ সফরে থাকা নিউজিল্যান্ডের কোন খেলোয়াড় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলে সুযোগ পায়নি। দলের শীর্ষ তারকাদের বিশ্রাম দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নিউজিল্যান্ড টিম ম্যানেজমেন্ট। এমনকি শীর্ষ তারকারা নিউজিল্যান্ড দলে থাকলেও অস্ট্রেলিয়া সিরিজের মত পিচ হলে অবশ্যই কঠিন সময়ের সম্মুখীন হতে হতো তাদের।

বাংলাদেশের প্রধান কোচ রাসেল ডোমিঙ্গো বলেছেন, প্রতিপক্ষ যেই হোক না কেন, সিরিজ জয়ই প্রাধান্য পাবে। যে কোনো সিরিজ জয়ই বড়। আমি মনে করি ৫০ ওভারের ফরম্যাটে শ্রীলংকা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে জয় ছিল দুর্দান্ত অর্জন। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিন ফরম্যাটেই জয় ছিলো। আমি একটির তুলনায় আরেক সিরিজকে এগিয়ে রাখাটা পছন্দ করি না। প্রতিটি সিরিজ জয় দলের জন্য বিশেষ।’

নিউজিল্যান্ডের ভারপ্রাপ্ত কোচ গ্লেন পকনাল বলেছেন, ‘এখানে আমরা ভালো করার বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী। এখানে কিছু গতি এবং বাউন্স দলের জন্য সহায়ক হতে পারে। সব দিক দিয়ে প্রস্তুতি নিয়ে আমাদের সজাগ থাকতে হবে। আমরা অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের মতো ধীর এবং নিচু উইকেটের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। তবে আমরা এতে অভ্যস্ত নই। তবে যদি এটির গতি এবং বাউন্স একটু বেশি থাকে, আমরা এতে বেশ খুশি হবো।’

মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় বিকেল ৪টায় শুরু হবে ম্যাচ। সরাসরি দেখাবে গাজী টিভি ও টি-স্পোটর্স।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *