শুক্রবার, নভেম্বর ৮, ২০২৪
শুক্রবার, নভেম্বর ৮, ২০২৪
আলোচিত সংবাদক্রিকেটব্রেকিং নিউজ

ধবলধোলাই করা হলো না জিম্বাবুয়েকে, বাংলাদেশের হার

জিম্বাবুয়েকে ধবলধোলাই করতে মাঠে নেমেছিল বাংলাদেশ তবে পাল্টা জবাব দিয়েছে তারা। শেষ টি-২০তে খুব সহজেই জয় তুলে নিয়েছে তারা।
ব্যাটিংয়ে শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, নাজমুল হোসেন শান্তরা টেনে তুলেন এরপর।

বোলিংয়ে বাজে দিন কাটালেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, শেখ মাহেদীরা। জিম্বাবুয়েকেও আর ধবলধোলাই করতে পারেনি টাইগাররা। রোববার মিরপুরের শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে পাঁচ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের শেষটিতে বাংলাদেশকে ৮ উইকেটে হারিয়েছে জিম্বাবুয়ে। শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৫৭ রান করে স্বাগতিকরা। ওই রান ৯ বল আগেই তাড়া করে ফেলে জিম্বাবুয়ে।

টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা একদমই বাজে হয় বাংলাদেশের। স্রেফ ১৫ রানে তিন উইকেট হারিয়ে ফেলে তারা। শুরুটা হয় দ্বিতীয় ওভারে তানজিদ হাসান তামিমকে দিয়ে। ব্লেসিং মুজারাবানির বাউন্সার পুল করতে গিয়ে মিডউইকেটে ক্যাচ দেন তিনি। ৫ বলে ২ রান করেন তিনি।
ইনিংসের শুরুর দিকে ছক্কা হাঁকালেও সেটি বড় করতে পারেননি আরেক ওপেনার সৌম্য সরকারও। তার অফ স্টাম্পের বাইরের বল ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে ক্যাচ দেন তিনি, এর আগে ৭ বল খেলে করেন ৭ রান। তিনে খেলতে নেমে ৬ বলে স্রেফ এক রান করে আউট হন তাওহীদ হৃদয়। ব্রায়ান বেনেটের বল ঠিকঠাক বুঝতে পারেননি, তার ব্যাট ছুঁয়ে বল যায় ক্লাইভ মাদানদের হাতে।

তিন উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে যাওয়া দলকে উদ্ধারের চেষ্টা করেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। দুজনের জুটিতে ৪৫ বলে আসে ৬৯ রান। এই জুটি ভাঙেন ওয়েলিংটন মাসাকাদজা। ৫ চার ও ১ ছক্কায় ২৮ বলে ৩৬ রান করে স্লগ সুইপ করতে গিয়ে ক্যাচ দেন শান্ত।

এই জুটি ভাঙার পর রিয়াদের সঙ্গী হন সাকিব আল হাসান। ১৭ বলে ২১ রান করা সাকিবকে ফেরান লুক জংওয়ে। তবে আরেক প্রান্তে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। যদিও খুব বেশি দূর যেতে পারেননি এরপর। ৬ চার ও ১ ছক্কায় ৪৪ বলে ৫৪ রান করে মুজারাবানির বলে আউট হন তিনি।

শেষদিকে দলের রানকে দেড়শ ছাড়িয়ে নিয়ে যান জাকের । ২ ছক্কা ও ১ চারে ১১ বলে অপরাজিত ২৪ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলেন তিনি।
রান তাড়ায় নেমে দুদিক থেকে দুই রকম শুরু পায় জিম্বাবুয়ে। একদিকে আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করতে থাকেন ব্রায়ান বেনেট, আরেকদিক তাদিওয়ানাশে মারুমানি থাকেন চুপচাপ। প্রথম চার ওভারে ৩৮ রান তোলে জিম্বাবুয়ে, এর মধ্যে ১৮ বলে ৩৬ রান ছিল বেনেটের; ৬ বলে ১ রান করেন মারুমানি। পঞ্চম ওভারের প্রথম বলে আউট হয়ে যান তিনি। সাকিবের বলে এগিয়ে এসে খেলতে গিয়ে স্টাম্পিংয়ের শিকার হন। তাকে ফেরানোর পর জিম্বাবুয়ের রান তোলার গতি কিছুটা কমলেও আরও একটি বড় জুটি পেয়ে যায় তারা।

সিকান্দার রাজা ও ব্রায়ান বেনেটের ৬৬ বলে ৭৫ রানের জুটি ভাঙেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। ৫টি চার ও সমান ছক্কায় ৪৯ বলে ৭০ রান করে তার অফ স্টাম্পের বাইরের বল তুলে মারতে গিয়ে রিশাদের হাতে ক্যাচ দেন বেনেট।

শেষ চার ওভারে জিম্বাবুয়ের সামনে ৩২ রানের লক্ষ্য দাঁড়ায়। ১৭তম ওভারে এসে সাত রান দেন মোস্তাফিজ। কিন্তু পরের ওভারে গিয়ে টানা দুই ছক্কা ও এক বাউন্ডারিতে ১৯ রান হজম করেন সাইফউদ্দিন। সবমিলিয়ে ৪ ওভারে ৫৫ রান দেন তিনি।

পরের ওভারে মাহেদী হাসানকে প্রথম বলেই চার হাঁকান ক্যাম্পবেল। তৃতীয় বলে সিঙ্গেল নিয়ে দলের জয় নিশ্চিত করেন তিনি। ৯ বলে ৮ রান করে ক্যাম্পবেল ও ৪৬ বলে ৭২ রান করে শেষ অবধি অপরাজিত থাকেন রাজা। টানা চার ম্যাচ জিতলেও শেষটি হেরে যাওয়ায় সফরকারীদের ধবলধোলাই করা হলো না বাংলাদেশের।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *