মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু’র ঢাকা সফরে ভিসা নীতি ছাড়াও র্যাবের নিষেধাজ্ঞার বিষয়গুলো উঠে আসতে পারে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। সোমবার (১৩ মে) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে আলাপকালে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি।
ডোনাল্ড লু’র ঢাকা সফর নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক খুবই ভালো। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চতুর্থবারের মতো নির্বাচিত হওয়ার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট চিঠি লিখে দু’দেশের সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছেন। সুতরাং, মার্কিন প্রশাসন থেকে যারাই বাংলাদেশে সফর করুক না কেন, আমাদের সম্পর্ককে এগিয়ে নেয়ার লক্ষ্যেই আমরা কাজ করবো।
তিনি বলেন, অর্থনৈতিক সম্পর্ক ছাড়াও দুই দেশের নানা ক্ষেত্রে সম্পর্ক আছে, সেগুলো নিয়েও আলোচনা হবে। ভিসা নীতি বা র্যাবের নিষেধাজ্ঞা আমাদের সম্পর্কে কিছুটা বেতাঘাত করেছিল ঠিকই, তবে সেগুলো নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি। পাশাপাশি এগুলো যাতে সহজীকরণ করা হয় সে জন্য আমরা ইতোপূর্বে মার্কিন প্রশাসনের হোয়াইট হাউস স্টেট ডিপার্টমেন্টের যেসব কর্মকর্তারা এসেছিল, তাদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। সেই প্রসঙ্গগুলো স্বাভাবিকভাবেই আসতে পারে।
বিএনপির ভারতীয় পণ্য বর্জনের বিষয়ে তিনি বলেন, ভারতীয় পণ্য বর্জনে বিএনপির আন্দোলন মুখ থুবড়ে পড়েছে। এর মূল উদ্দেশ্য ছিল দেশের বাজারকে অস্থিতিশীল করা। তবে তাদের সব চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় নেতৃত্বের বহিঃপ্রকাশ হলো বিশ্ব ব্যাংকের সহায়তা ছাড়াই পদ্মা সেতু নির্মাণ। নিন্দুকের সঙ্গে চ্যালেঞ্জ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পদ্মা সেতু হয়েছে। পদ্মা সেতু নিয়ে সিপিডি-টিআইবিসহ অন্যান্য সমালোচনাকারীদের জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত। জাতি ঐক্যবদ্ধ থাকলে দেশে যেকোনো উন্নয়ন সম্ভব- সেটির বড় প্রমাণ পদ্মা সেতু।
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মিয়ানমারের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু করতে অনুরোধ জানানো হয়েছে। কিন্তু আরাকানের বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রত্যাবাসনে বাধা রয়েছে। তবে এটাকে পুঁজি করা ঠিক নয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।