আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ওয়াশিংটনে কনকনে শীতের মধ্যে অভিষেক বক্তৃতায় ‘বাই আমেরিকা হায়ার আমেরিকা’ বলে ডোনাল্ড ট্রাম্প গরম ভাষণ শুনে খুশি হলেও সমর্থকরা নতুন প্রেসিডেন্টের ট্রেডমার্ক হিসেবে পরিচিত ‘মেইক আমেরিকা গ্রেইট এগেইন’ লেখা লাল টুপিগুলো ভিনদেশে তৈরি দেখে বেজার হয়েছেন বলে রয়টার্স জানিয়েছে। তুমুল হাততালি কুড়ালেও নির্বাচনী স্লোগান দিয়ে বানানো টুপিতে বাংলাদেশ, চীন আর ভিয়েতনামের নাম দেখে হতাশ ট্রাম্প সমর্থকরা।
শুক্রবার অভিষেকের ভাষণেও সেই আলোকে আমেরিকান পণ্য কিনতে এবং চাকরিতে নিজের দেশের নাগরিকদের নিতে ব্যবসায়ীদের আহ্বান জানান ট্রাম্প। মার্কিনিদের জন্য চাকরির বাজার এবং ব্যবসার সুযোগ উন্মুক্ত করার আশ্বাস দিয়ে নভেম্বরের নির্বাচনে জয়ী হন ধনকুবের এই ব্যবসায়ী। অথচ অভিষেক অনুষ্ঠানেই বানানো টুপি নিজ দেশের নয়, যা দেখে হতাশ হয়েছেন মার্কিনিরা। তাদের ধারণা কট্টর জাতীয়তাবাদের আলোকেই নির্বাচনী প্রচারে অভিবাসীদের বিরুদ্ধে কথা বলেছিলেন তিনি। সুতরাং সেই হিসাবে মার্কিন বাজারে চীনের একাধিপত্য নিয়েও।
শপথের দিন ওয়াশিংটনের রাস্তায় মাত্র ২০ ডলারে বিকোচ্ছিল ওই টুপিগুলো। এর বেশিরভাগই বাংলাদেশ, চীন বা ভিয়েতনামের কারখানাগুলোতে বানানো বলে রয়টার্স জানিয়েছে। ট্রাম্পের ওয়েবসাইটে থাকা টুপিগুলোর চেয়ে এগুলোর দাম কম হওয়ায় সমর্থকরাও এগুলোতেই ঝুঁকছিলেন। ওয়েবসাইট থেকে কিনলে টুপিগুলোর দাম পড়ছে ২৫ থেকে ৩০ ডলার।
অভিষেকের দিন টুপি কিনেছে ভাইবোন ভিক্টোরিয়া স্কট ও অ্যান্ড্রু স্কট। ভিক্টোরিয়ার ২৫ ডলার দামি টুপিটি বানানো হয়েছে চীনে, তা নিয়ে ভ্রূক্ষেপ নেই ১৩ বছরের এই কিশোরীর। এক বছরের ছোট অ্যান্ড্রু তার টুপি পরীক্ষা করে উচ্চারণ করলো ‘বাঙ্কলাদেশ’; পাশে থাকা তার বাবা শুধরে দিয়ে বললেন, “তুমি কি বাংলাদেশের কথা বলছো?”
একই অবস্থা নিউ ইয়র্কের কুইন্স থেকে আসা রবার্ট মরিসনেরও। তার দুটি টুপি আছে, একটি রাস্তার পাশের হকার থেকে ২০ ডলারে কেনা ‘মেইক আমেরিকা গ্রেইট এগেইন’ লেখা হ্যাট, অন্যটি নিউ ইয়র্ক লেখা ইয়াঙ্কি ক্যাপ। দুটোই চীনের বানানো বলে জানালেন তিনি।
সবাই অবশ্য অস্টিন আরাকোর মত বুদ্ধিমান নন। ২২ বছর বয়সী আরাকোর বাস আরকানসোতে। ট্রাম্পের সিগনেচার হ্যাট পরেই তার অভিষেক দেখতে ওয়াশিংটনে আসেন তিনি। জানালেন, ট্রাম্প জেতার পরপরই হ্যাটটি কেনেন তিনি। তার ওয়েবসাইট থেকে কিনেছি; আমি চেয়েছি যেন এর মাধ্যমে তার তহবিলেও খানিকটা সাহায্য করা যায়; আমি ধরা খেতে চাইনি। এজন্য পরিবহন ব্যায়সহ ৩০ ডলারেই হ্যাটটি কিনে নিয়েছি।