সংবাদ শিরোনাম

 

 

নদীর পানি বেড়ে যাওয়া এবং টানা তিন দিনের বৃষ্টিতে কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলায় কয়েকশ একর রোপা আমনের জমি তলিয়ে গেছে। ফলে নষ্ট হচ্ছে জমিতে রোপণ করা ধানের চারা।

 

বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ভৈরব উপজেলার সাদেকপুর ইউনিয়নের রসুলপুর, সাদেকপুর, মেন্দিপুর গ্রামে গিয়ে এমন চিত্র দেখা যায়। এতে দুশ্চিন্তায় আছেন কৃষকরা।

 

রসুলপুর গ্রামের কৃষক আলিম উদ্দিন এ বছর স্থানীয় এনজিও থেকে কিস্তির ওপর টাকা তুলে পাঁচ একর জমিতে আমন ধান চাষ করেছেন। তিনি বলেন, কয়েকদিনের বৃষ্টিতে হঠাৎ বিলের পানি বেড়ে ধানের জমি তলিয়ে গেছে। এ পানি যদি আরও কয়েক দিন অবস্থান করে তাহলে জমিতে রোপণ করা ধানের চারা পচে যাবে। এসব চারায় আর ধান হবে না।

 

 

 

সাদেকপুর গ্রামের কৃষক লিটন মিয়া বলেন, ‘এ বছর বর্ষার পানি দ্রুত সময়ে চলে যাওয়ায় জমিতে আমন ধান রোপণ করেছিলাম। কিন্তু হঠাৎ বিলে পানি বেড়ে রোপণকৃত ধানের জমি তলিয়ে গেছে। এতে আমার ছয় একর জমিতে রোপণকৃত ধানের চারা নষ্ট হয়ে গেছে।’

কৃষক আনোয়ার হোসেন মিয়া বলেন, ‘বর্ষার পানি তাড়াতাড়ি চলে যাওয়ায় সবাই আমন ধান রোপণ করেছিলেন। কিন্তু পানি বাড়ায় ধানের জমি তলিয়ে আছে। প্রতি একর জমিতে ধান রোপণ করতে প্রত্যেক কৃষকের ৫-৬ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। এখন পানি এসে সব শেষ করে দিলো। সরকার যদি আর্থিক সহযোগিতা দেয়, তাহলে পরিবার নিয়ে কোনোরকম খেয়ে পড়ে থাকতে পারবো।

 

এ বিষয়ে ভৈরব উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আকলিমা বেগম বলেন, এ বছর বর্ষার পানি দ্রুত সময়ে চলে যাওয়ায় কৃষকরা তাদের জমিতে আমন ধান রোপণ করেছিলেন। কিন্তু হঠাৎ পানি বাড়ায় জমিতে ধানের চারা নষ্ট হয়ে গেছে। এতে কয়েকশ একর ধানের জমি পানিতে তলিয়ে যায়।

 

উপজেলা কৃষিবিভাগের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা তৈরি করে তাদের সহযোগিতা দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

 


মতামত জানান :

 
 
 
কপিরাইট © ময়মনসিংহ প্রতিদিন ডটকম - সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত | উন্নয়নে হোস্টপিও.কম