টাঙ্গাইলে যমুনা নদীর পানিবৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় নিম্নাঞ্চলের নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। এতে হাজার হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। এদিকে মঙ্গলবার (৩১ আগস্ট) ৬ সেন্টিমিটার পানি বেড়ে বিপৎসীমার ৪১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এদিকে বেড়েছে অভ্যন্তরীণ নদ-নদীর পানিও। এতে টাঙ্গাইল সদর, কালিহাতী, নাগারপুর, ভূঞাপুর ও বাসাইল উপজেলার কয়েক শতাধিক গ্রামসহ যমুনার চরাঞ্চলের অর্ধশতাধিক গ্রামের লক্ষাধিক মানুষ বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে।
পানিবৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয়েছে তীব্র ভাঙন। ফলে পাঁচটি উপজেলার যমুনা ও ধলেশ্বরী তীরবর্তী দুই শতাধিক বসতবাড়ি, ফসলি জমি ও বিভিন্ন স্থাপনা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
সরেজমিনে জেলার বাসাইল উপজেলার বাসাইল-নাটিয়াপাড়া-বিলপাড়া সড়কে দেখা গেছে, পানি বৃদ্ধি পেয়ে ওই সড়ক উপচে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। এতে সড়ক ভেঙে বাসাইল সদরের সঙ্গে যোগাযোগব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এ ছাড়া ওই সড়কে আশপাশের মানুষের একমাত্র যোগাযোগমাধ্যম ডিঙি নৌকা। এতে ঝুঁকি নিয়ে মানুষজন নৌকাযোগে চলাচল করছে।
জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী সিরাজুল ইসলাম বলেন, ভাঙনরোধে কোথাও কোথাও অস্থায়ী ভিত্তিতে কাজ চলমান রয়েছে। বন্যা শেষে প্রকৃত ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
জেলা প্রশাসক ড. আতাউল গনি জানান, বন্যাকবলিতদের জন্য পর্যাপ্ত বরাদ্দ পাওয়া গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের তালিকা করে তা বিতরণের কাজ চলমান রয়েছে।
Leave a Reply