স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, জেলখানায় থাকা আসামিদের একটি বিরাট অংশ মাদকাসক্ত। যারা বিভিন্ন অপকর্ম করে জেল খাটছেন। বিভিন্ন সেবাধর্মী প্রতিষ্ঠান মাদকাসক্ত নিরাময়ে কাজ করছে। আমাদের সন্তানেরা কী করে তা আমাদের অভিভাবকদের খেয়াল রাখা উচিত।
রোববার (১৪ জুলাই) রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচার বিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষ্যে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, মাদকাসক্তি সারা বিশ্বে হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমাদের দেশে বিভিন্ন কর্মসূচি পালনের মাধ্যমে জনসচেতনতা বাড়ানো হচ্ছে। আমরা মাদক উৎপাদন করি না। কিন্তু ভৌগোলিক কারণে এর প্রভাব আমরা ফেস করে আসছি। মাদকাসক্তি নিয়ে যদি আমরা কাজ না করি তাহলে এর ব্যাপ্তি আরও ছড়াবে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী যেমন সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কাজ করছেন। তেমনি মাদকের বিরুদ্ধেও জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছেন। মাদকের থাবা থেকে আসক্তদের মূল স্রোতে ফিরিয়ে আনতে বেশকিছু নিরাময়কেন্দ্রে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, পুনর্বাসনের জন্য জাতীয় গাইডলাইন প্রণয়ন করা হয়েছে। আমরা চাই আসক্তদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে। মাদক সরবরাহ রোধে বিজিবি, র্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সক্ষমতা জোরদার করা হয়েছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পাশের যে দেশগুলো থেকে মাদক আসছে, আমরা তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছি। আমাদের অভিযোগের বিরুদ্ধে তারাও কাজ করছে। ভারত আমাদের আশ্বস্ত করেছে। মিয়ানমারকে বহুবার অনুরোধ করা হলেও তারা সেটি নিয়ন্ত্রণে নিতে পারছে না তাদের অভ্যন্তরীণ যুদ্ধ বিগ্রহের কারণে। আমরা আশা করি, তারাও আমাদের সহায়তা করবে। নিয়মিত বৈঠক চলছে।
তিনি বলেন, আমাদের সবাইকে মাদকের বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে। মাদক কারবারিদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের মহাপরিচালক খোন্দকার মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় সংসদের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি বেনজির আহমেদ ও সুরক্ষা সেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. মশিউর রহমান।