মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে করা মামলায় জামিন পেয়ে কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন চিত্রনায়িকা পরীমণি।
বুধবার (১ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টায় গাজীপুরের কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়। এর আগে মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ পরীমণির জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন।
কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার (ভারপ্রাপ্ত) সৈয়দ শাহ শরীফ জানান, আদালত থেকে পরীমণির জামিনের কাগজপত্র মঙ্গলবার (৩১ আগস্ট) রাতে কারাগারে পৌঁছায়। পরে আদালতের কাগজপত্র যাচাই-বাছাই শেষ করে পরীমণিকে বুধবার সকাল সাড়ে ৯টায় মুক্তি দেওয়া হয়।
এ মাসের ৪ আগস্ট সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে পরীমণিকে তার বনানীর বাসা থেকে আটক করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। ওই দিন রাত ৮টার দিকে পরীমণিকে একটি সাদা মাইক্রোবাসে করে র্যাব সদরদফতরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে রাত ১২টা পর্যন্ত তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরদিন ৫ আগস্ট বিকেল ৫টায় পরীমণি, চলচ্চিত্র প্রযোজক রাজ ও তাদের দুই সহযোগীকে বনানী থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। র্যাব বাদী হয়ে বনানী থানায় পরীমণি ও তার সহযোগী দীপুর বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করে।
এরপর তাকে আদালতে হাজির করলে প্রথমে ৪ দিনের রিমান্ড, পরে আরও দুই দফায় তাকে রিমান্ডে পাঠান আদালত।
মামলা সূত্রে জানা যায়, পরীমণি ২০১৬ সাল থেকে মাদকসেবন করতেন। এমনকি এলএসডি এবং আইসও সেবন করতেন। এমনকি বাসায় একটি ‘মিনিবার’ও তৈরি করেন। বাসায় নিয়মিত ‘মদের পার্টি’ করতেন তিনি। চলচ্চিত্র প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজসহ আরও অনেকে তার বাসায় অ্যালকোহলসহ বিভিন্ন মাদকের সরবরাহ করতেন এবং পার্টিতে অংশ নিতেন।
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে সিনেমায় ক্যারিয়ার শুরু করেন পরীমণি। এ পর্যন্ত ৩০টি সিনেমা এবং বেশ কয়েকটি টিভিসিতে অভিনয় করেছেন। পিরোজপুরের মেয়ে পরীমণিকে চলচ্চিত্র জগতে নিয়ে আসেন প্রযোজক রাজ।