জামালপুরের বকশিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের অফিসে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও বগারচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের গাড়িতে আগুন দিয়েছে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। রোববার (৪ আগস্ট) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, দেশব্যাপী চলমান বৈষম্যবিরোধী অসহযোগ আন্দোলনের অংশ হিসেবে এক দফা দাবিতে সকাল থেকে মাঠে নামে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। উপজেলার নুর মোহাম্মদ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ থেকে বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে। পরে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে মালিবাগ মোড়ে অবস্থিত উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে এসে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ ঘটায়। এ সময় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা কার্যালয় ছেড়ে চলে যান।
অন্যদিকে উপজেলা চত্বরের সামনে থাকা বগারচর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান মাসুম প্রামানিকের গাড়িতে আগুন দেয় আন্দোলনকারীরা।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহিনা বেগম বলেন, সাধারণ ছাত্রদের সঙ্গে বিএনপি, ছাত্রদল ও জামায়াত-শিবিরের লোকজন একসঙ্গে এসে অফিস ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে। আমাদের কিছু নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
বগারচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাসুম প্রামানিক বলেন, বিশেষ কাজে রোববার সকালে আমার গাড়িটি উপজেলা পরিষদের চত্বরে রেখে জামালাপুর যাই। দুপুরে আমার গাড়ি পুড়ে যাওয়ার খবর পাই। এ বিষয়ে আমি থানায় অভিযোগ করবো।
এবিষয়ে মন্তব্য জানার জন্য বকশিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) মোবাইলে একাধিকবার কল দিলেও তিনি কল রিসিভ করেননি। পরে আবার কল দিলে তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।
বকশিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অহনা জিন্নাত বলেন, উপজেলা গেটে থাকা বগারচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের গাড়ি আগুন দেয় আন্দোলনকারীরা। তবে কোনো ভবনে আগুন লাগেনি।
জেলার ইসলামপুর উপজেলা সাব-রেজিস্টার অফিসের সামনে একত্র হওয়া বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায় যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এতে সাংবাদিকসহ পাঁচজন আহত হয়েছেন।
ইসলামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা এ এ আবু তাহের জানান, চারজন শিক্ষার্থীকে জরুরি বিভাগ থেকে স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া হয়েছে।
এদিকে সকাল থেকে জামালপুর শহরের বিভিন্ন মোড়ে অবস্থান নেন ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এবং বিভিন্ন সড়ক দিয়ে মোটরসাইকেল শোডাউনও করে তারা।
এ ছাড়াও জামালপুরের মাদারগঞ্জ, সরিষাবাড়িতে আন্দোলন করেছেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারীরা।