ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সভাপতি দৈনিক সংগ্রামের চিফ রিপোর্টার রুহুল আমিন গাজীর নামাজে জানাজা জাতীয় প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুর একটা ৪০ মিনিটে জাতীয় প্রেসক্লাবের মিলনায়তনে আয়োজিত নামাজে জানাজায় ইমামতি করেন বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামের আমীর মাওলানা শফিকুর রহমান।
মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাতে অসুস্থ অবস্থায় রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন এ বলিষ্ঠ সাংবাদিক নেতা।
নামাজে জানাজার আগে তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেন, গণতন্ত্রের জন্য ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে তিনি আজীবন লড়াই করেছেন। এই মূহুর্তে সাংবাদিক সমাজের ওনার দিকনির্দেশনা প্রয়োজন ছিল।
রুহুল আমিন গাজীর ছেলে আফনান আবরার বলেন, বাবা সব সময় আমার কাছে একটাই জিনিস চাইতেন, যে তুমি কখনো দেশের বাইরে চলে যেও না, যত কিছুই হোক মাতৃভূমি ছাড়া যাবে না। চলার পথে অনেকেরই ভুলভ্রান্তি হয়ে থাকে। বাবারও যদি কোনো ভুল হয়ে থাকে তাহলে সে ভুল ক্ষমা করে দেবেন।
প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব ভূইয়া বলেন, রুহুল আমিন গাজীর সঙ্গে আমার অসংখ্য স্মৃতি আছে। তিনি রাস্তায় আন্দোলন করতে গিয়ে কারাভোগ করেছেন, নির্যাতিত হয়েছেন। সাংবাদিকতার আন্দোলন করতে গিয়ে কারাবরণের উদাহরণ খুব কমই আছে।
প্রেসক্লাবের সভাপতি হাসান হাফিজ বলেন, তিনি যখন জেলে ছিলেন, তখন তার সুচিকিৎসা হয়নি। যদি হতো তাহলে হয়তো আজকে এমন টা হতো না। উনি সাংবাদিক সমাজের জন্য উদাহরণ হয়ে থাকবেন।
জানাজা শেষে প্রথমে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর শ্রদ্ধা জানান। এর পর জাতীয় প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে রুহুল আমিন গাজীর প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়।
জানাজা নামাজে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল, জামাতের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মঞ্জুসহ বিভিন্ন দলের নেতাকর্মীরা।