নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আন্দোলনের নামে মানুষ খুন, অগ্নিসংযোগ এবং তাণ্ডব চালানোর অপরাধে বিএনপি ও তার দোসরদের একদিন গণআদালতে বিচার হবে।’
মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এ জনসভা হয়।
জনসভায় বিএনপির নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যারা মানুষ হত্যা করে, যুদ্ধাপরাধীদের মন্ত্রী বানায়, তাদের হাতে-মুখে গণতন্ত্র সুরক্ষার কথা মানায় না। তারা জঙ্গি, তারা সন্ত্রাসী। বাংলার মানুষ তাদের বিচার করবে। গণআদালতে একদিন এদের বিচার হবে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘এতিমের টাকা মেরে খেয়ে খালেদা জিয়া এখন দুর্নীতির মামলায় হাজিরা দিচ্ছেন। মামলায় আদালতে নিয়মিত হাজিরা না দিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। তার কাছ থেকে আমাদের রাজনীতি শিখতে হবে বা গণতন্ত্র শিখতে হবে, এটা দেশের মানুষ কোনোদিন মেনে নেবে না।’
‘বিএনপি-জামায়াতের ২০১৩, ২০১৪ ও ২০১৫ সালের আন্দোলনের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, নির্বাচন ঠেকানোর নামে আন্দোলনে নেমে মানুষ হত্যা শুরু করলেন ২০১৩ তে। ২০১৪ তে আবার আন্দোলনের নামে ৫৮২টি স্কুল পোড়ালেন, প্রিসাইডিং অফিসারদের হত্যা করলেন। এসব হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে নির্বাচন ঠেকাতে পারলেন না। ২০১৫ সালে আবার বাসা থেকে অফিসে এসে আন্দোলনের নামে তাণ্ডব শুরু করলেন খালেদা জিয়া। সরকার উৎখাতের নামে ২৩১ জন মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করেছিল, হাজার হাজার মানুষ আহত হয়েছে, ২৯টি রেলগাড়ি এবং ৯টি লঞ্চে আগুন দিয়েছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ২৩ সদস্যকে হত্যা করে, শত শত কোরান শরিফ পোড়ায় বায়তুল মোকাররমের সামনে’ বলেন আওয়ামী লীগের সভাপতি।
জনসভায় আরো বক্তব্য রাখেন- সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, মতিয়া চৌধুরী, মোহাম্মদ নাসিম, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সুজিত রায় নন্দী, আবুল হাসনাত, শাহে আলম মুরাদ, সাদেক খান, আনিসুল হক, সাঈদ খোকন, ওমর ফারুক চৌধুরী, মোল্লা মো. আবু কাওছার, সিরাজুল ইসলাম, নাজমা আক্তার, মোতাহার হোসেন মোল্লা, এস এম জাকির হোসাইন।
আওয়ামীর লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের স্বাগত বক্তব্য রাখেন। যৌথভাবে সভা পরিচালনা করেন ড. হাছান মাহমুদ ও আমিনুল ইসলাম আমিন।