সংবাদ শিরোনাম

 

দেশের প্রধান নদ-নদীগুলোর পানি বাড়ছে। বিভিন্ন জেলার নতুন নতুন নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। এ অবস্থায় সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে আগামী ২৪ ঘণ্টায় দেশের ছয় জেলার নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে।

বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র থেকে বলা হয়েছে, দেশের প্রধান সব নদ-নদীর পানি বাড়ছে, যা আগামী ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় তিস্তা অববাহিকার অঞ্চলগুলোর বন্যা পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকতে পারে। তবে একই সময়ে সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলার নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে। আগামী ৪৮ ঘণ্টায় পদ্মা নদীর গোয়ালন্দ পয়েন্টে পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় রাজবাড়ী, ফরিদপুর, শরীয়তপুর ও চাঁদপুর জেলার নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে।

নীলফামারীতে তিস্তার পানি ফের বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। রবিবার বিকেল ৩টায় ডালিয়ায় তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে নদীর পানি বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। তিন দিন ধরে তিস্তার পানি বাড়া-কমায় বিপাকে পড়েছে জেলার ডিমলা উপজেলার পূর্ব ছাতনাই, খগাখড়িবাড়ী, টেপাখড়িবাড়ী, খলিশা চাপানী, ঝুনাগাছ চাপানী ও গয়াবাড়ী ইউনিয়নের ১৫টি চরের পাঁচ হাজার পরিবার।

ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানায়, রবিবার তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে নদীর পানি সকাল ৬টায় বিপৎসীমার দুই সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়ে সকাল ৯টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকে। দুপুর ১২টায় বিপৎসীমা অতিক্রম করে আট সেন্টিমিটার এবং বিকেল ৩টায় ১০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।

পাঁচ দিন ধরে টানা বৃষ্টিতে মেঘালয় থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে ভারত সীমান্তবর্তী সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার নদ-নদীর পানি বেড়েছে। তাহিরপুর-সুনামগঞ্জ সড়কের উপজেলার আনোয়ারপুর সেতুর পূর্ব পাশের সংযোগ সড়ক এবং বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার শক্তিয়ারখলা অংশে ওপর দিয়ে চার ফুট উচ্চতায় ঢলের পানি প্রবাহিত হচ্ছে।

তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রায়হান কবির বলেন, পাহাড়ি ঢলের কারণে সড়কের এই দুটি স্থান ডুবন্ত সড়কের নকশায় নির্মিত হয়েছে। পানির অধিক চাপ পড়লে সড়কের এই দুটি অংশের ওপর দিয়ে পাহাড়ি ঢলের পানি প্রবাহিত হয়। তবে বৃষ্টি কমলে পানি সরে যায়।

আগামী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে—রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের বেশির ভাগ জায়গায়, ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রাজশাহী, বরিশাল ও খুলনা বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি ও বজ সহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে ভারি বর্ষণ হতে পারে। গতকাল সকাল ৬টা পর্যন্ত সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় দেশের সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে রাজারহাটে ৮০ মিলিমিটার।


মতামত জানান :

 
 
 
কপিরাইট © ময়মনসিংহ প্রতিদিন ডটকম - সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত | উন্নয়নে হোস্টপিও.কম