প্রচন্ড তাপদাহের কারণে সারাদেশের ন্যায় ময়মনসিংহে সকল ধরণের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও চলছে রমরমা কোচিং সেন্টারগুলো। এতে শিক্ষার্থীরা অস্বস্তিপ্রকাশ করলেও শিক্ষক এবং অভিভাবকের কারণে কোচিংয়ে আসতে বাধ্য হচ্ছেন। তবে যারা কোচিং খোলা রেখে নীতিবর্হিভূত কাজ করছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছেন শিক্ষা কর্মকতার্রা।
গত কয়েকদিনে ময়মনসিংহে সবোর্চ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। প্রচন্ড তাপদাহে হাঁসফাঁস অবস্থার মধ্যে বন্ধ রয়েছে স্কুল কলেজ। তবে রোববার সকালে নগরীর বাউন্ডারী রোড, নাহা রোড, কলেজ রোড, জিলা স্কুল রোডসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় প্রায় চার শতাধিক কোচিং সেন্টার চালু রয়েছে। এসব কোচিং ও প্রাইভেট সেন্টারে শিক্ষার্থীদের গাদাগাদি করে বসিয়ে করানো হচ্ছে ক্লাশ।
নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী ফৌজিয়া জান্নাত ইউসা বলেন, স্কুলে নিয়মিত ক্লাশ হয় না; এখন কোচিংয়ে না আসলে পড়া কিভাবে হবে। স্কুল খুললেই তো আবার আমাদের পরীক্ষা। যদি প্রচন্ড রোদের মধ্যে কোচিংয়ে আসতে আমাদের কিছুটা সমস্যা হচ্ছে।
অভিভাবক আনিছুর রহমান বলেন, গরমের কারনে সরকারের স্কুল বন্ধের সিদ্ধান্ত অত্যন্ত যৌক্তিক। তবে বছরের ছয়মাস বিভিন্ন কারণে স্কুল বন্ধ থাকে। শিক্ষার্থীদের প্রাইভেট এবং কোচিংয়ের ওপর নির্ভর করে পড়াশোনা করতে হচ্ছে। কোচিংয়ের বন্ধে যদি কোন নির্দেশনা আসে, তাহলে হয়তো শিক্ষকরা বন্ধ রাখবেন।
সজীব স্যারের গণিত প্রাইভেট প্রোগ্রামের শিক্ষক সজীব আহম্মেদ বলেন, সব শিক্ষকরাই কোচিং চালাচ্ছেন, তারা যদি বন্ধ করে দেন তাহলে আমিও বন্ধ করে দেব। এতে শিক্ষার্থীরাই ক্ষতির সম্মুখীন হবে। গরমের জন্য ক্লাশে অতিরিক্ত পাখা লাগানো হয়েছে।
ময়মনসিংহ অঞ্চলের পরিচালক অধ্যাপক আজহারুল ইসলাম বলেন, শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার বিষয়টি নজরে নিয়ে এবং সরকারের সিদ্ধান্তকে সম্মান জানিয়ে শিক্ষকদের উচিত সকল ধরণের কোচিং প্রোগ্রাম বন্ধ রাখা।
যারা শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করে তাদের বাহিরে আনতে কোচিং অব্যাহত রেখেছেন, তারা নীতিবর্হিভূত কাজ করছে। অভিযোগ পেয়ে বেশ কয়েকজনের সাথে যোগাযোগ করে কোচিং পরিচালনার সত্যতা পাওয়া গেছে। আমরা এ বিষয়ে অবশ্যই ব্যবস্থা নেব।