সংবাদ শিরোনাম

 

নিজস্ব প্রতিবেদক : জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় আত্মপক্ষ সমর্থনে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার অসমাপ্ত বক্তব্য শেষ করতে আগামী ১২ জানুয়ারি পরবর্তী তারিখ ধার্য করেছেন আদালত। এছাড়া জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার শুনানির জন্যও একই তারিখ ধার্য করা হয়েছে।

খালেদা জিয়ার করা সময় আবেদনের প্রেক্ষিতে ঢাকার বকশিবাজার আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত তৃতীয় বিশেষ জজ আবু আহমেদ জমাদারের আদালত বৃহস্পতিবার এই দিন ধার্য করেন।

চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় আত্মপক্ষ সমর্থনে অসমাপ্ত বক্তব্য দিতে আজ বিশেষ জজ আদালতে হাজির হয়ে সময় আবেদন করেন খালেদা। আবেদনে তিনি বলেন, দুর্নীতির এই মামলাটিতে পুনরায় সাক্ষ্য নেয়ার ব্যাপারে খারিজ হওয়া হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে তিনি একটি রিভিশন মামলা করেছেন। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে রিভিউ আদেশ আসার সম্ভাবনা আছে। ওই আদেশ না আসা পর্যন্ত তিনি সময় চান।

শুনানি শেষে বিচারক আবেদন মঞ্জুর করে ১২ জানুয়ারি শুনানির পরবর্তী দিন ধার্য করেন। এছাড়া ওইদিন সাফাই সাক্ষীসহ বিশেষ আদালতে যেসব পিটিশন করা আছে সেগুলো নিষ্পত্তি হবে বলে আদালত জানান। যদিও দুদকের আইনজীবী এর তীব্র বিরোধীতা করেছেন।

গত ১ ডিসেম্বর আত্মপক্ষ সমর্থনের লিখিত বক্তব্যের আংশিক পড়ে শোনান খালেদা জিয়া। পরবর্তীতে ১৫ ডিসেম্বর আত্মপক্ষ সমর্থনে বাকি বক্তব্য দিতে সময় ধার্য করা হয়। কিন্তু ধার্য তারিখে আদালতে হাজির না হয়ে আইনজীবীদের মাধ্যমে সময় আবেদন করেন বিএনপি চেয়ারপারসন। আবেদন মঞ্জুর করে ২২ ডিসেম্বর তাকে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়। ২২ ডিসেম্বর আদালতে হাজির হলে ৫ জানুয়ারি হাজিরার পরবর্তী দিন ধার্য করেন বিচারক আবু আহমেদ জমাদার।

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় একটি মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

মামলার অপর আসামিরা হলেন- সাবেক প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, রাজনৈতিক সচিবের তৎকালীন সহকারী একান্ত সচিব ও বিআইডব্লিউটির নৌ-নিরাপত্তা এবং ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।

অন্যদিকে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় একই আদালতে হাজির হয়ে আজ সময় আবেদন করেন খালেদা জিয়া। আবেদনে বলা হয়, এই মামলার প্রথম তদন্ত কর্মকর্তা নুর মোহাম্মদের সাক্ষ্য নেয়া হয়নি। সুষ্ঠু বিচারের জন্য ওই কর্মকর্তার সাক্ষ্য নেয়ার আবেদন করা হলে বিচারক আবেদন মঞ্জুর করে শুনানির জন্য ১২ জানুয়ারি পরবর্তী তারিখ ধার্য করেন। এছাড়া ন্যায়বিচারের স্বার্থে ওইদিন নুর হোসেনকে আদালতে সাক্ষ্য দিতে বলা হয়।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় আরও একটি মামলা করে দুদক।

খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান ছাড়া এ মামলার অপর আসামিরা হলেন- মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান। ২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি চারজনের বিরুদ্ধেই অভিযোগপত্র দেয় দুদক। ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ অভিযোগ গঠন করা হয়।


মতামত জানান :

 
 
 
কপিরাইট © ময়মনসিংহ প্রতিদিন ডটকম - সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত | উন্নয়নে হোস্টপিও.কম