রবিবার, নভেম্বর ১০, ২০২৪
রবিবার, নভেম্বর ১০, ২০২৪
আলোচিত সংবাদজেলা সংবাদ

কুমিল্লায় এসে বিয়ে করলেন ইন্দোনেশিয়ার তরুণী

ইন্দোনেশিয়া থেকে প্রেমের টানে বাংলাদেশে এসেছেন এক তরুণী। ধুমধাম করে বিয়ে করেছেন বাংলাদেশি এক যুবককে। শুক্রবার (৪ অক্টোবর) দুপুরে পারিবারিকভাবে কুমিল্লা নগরীর হোটেল এলিট প্যালেসের কনভেনশন হলে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেন দুজনে।

জানা গেছে, বাংলাদেশে আসা ওই তরুণীর নাম নাজিফা মুনজারিন সিনতা (২৫)। তিনি ইন্দোনেশিয়ার মেডান রাজ্যের তেবিংতিংগি এলাকার বাসিন্দা উইলিয়াম সিনাগা ও মাসনিয়ার ডুলক দম্পতির মেয়ে। সিনতা মালয়েশিয়ায় একটি কোম্পানিতে চাকরি করতেন। জন্মলগ্ন থেকেই তারা খ্রিষ্টান ধর্মের অনুসারী ছিলেন। সিনতা বাংলাদেশে আসার পর ইসলাম ধর্মগ্রহণ করেন। মুসলিম ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়।

অপরদিকে বর আহাম্মদ উল্লাহ ইমতিয়াজ অপু (৩২) কুমিল্লা নগরীর রেসকোর্স এলাকার আলহাজ শামসুদ্দিন আহাম্মদ ও ফরিদা ইয়াসমিন দম্পতির ছেলে।

সম্পর্কের ব্যাপারে অপু বলেন, ‘গত ২৭ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশে আসেন সিনতা। বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) রাতে কুমিল্লা নগরীর উইন্ড কনভেনশন সেন্টার ও পার্টি সেন্টারে গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান করা হয়। দীর্ঘদিন ধরে মালয়েশিয়ায় ছিলাম। সেখানে একটি কোম্পানিতে চাকরির সুবাদে পরিচয় হয় একই কোম্পানিতে কাজ করা সিনতার সঙ্গে। একপর্যায়ে বন্ধুত্ব থেকে ভালোবাসার সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ি। এখন দুজনের ইচ্ছায় আমরা বিয়ে করেছি।’

তিনি বলেন, ‘সিনতা মালয়েশিয়া থাকলেও তার পরিবার ইন্দোনেশিয়ায় বসবাস করেন। সে তার পরিবারকে জানিয়েই বাংলাদেশে এসেছে। পরিবারের সম্মতিতে আমরা বিয়ে করেছি। কয়েকদিন বাংলাদেশে থাকার পর ইন্দোনেশিয়ায় ফিরবো আমরা। সেখানে গিয়ে সে দেশের রীতি অনুযায়ী আবার বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা পালন করা হবে।’ এসময় তিনি দাম্পত্যজীবনে সুখী হতে দেশবাসীর কাছে দোয়া চান।

কনে নাজিফা মুনজারিন সিনতা বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ খুবই আন্তরিক। আমি তাদের আতিথেয়তায় ভীষণ মুগ্ধ। এখানকার সবাই আমাকে আপন করে নিয়েছে। অপু পুরুষ হিসেবে অসাধারণ। সে অনেক কেয়ারিং একটা মানুষ। আমি ধন্য যে তাকে পেয়েছি।’

অপুর মা ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, ‘সিনতা খুবই ভালো ও মিশুক মেয়ে। তার সঙ্গে আমাদের ভাষার মিল নেই, সংস্কৃতিরও মিল নেই। কিন্তু সে যেভাবে আমাদের সঙ্গে মিশে গেছে, আমি বিস্মিত। আমার তিন ছেলের বউ যেন তিনটা মেয়ের মতো। তারা আমার মেয়ের শূন্যতা পূরণ করেছে। আমি খুবই খুশি হয়েছি তাদের এই আন্তরিকতা ও মনমানসিকতা দেখে।’

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *