কালো টাকা সাদা করার বিধান বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ।
বৃহস্পতিবার (২৯আগস্ট) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। সভা শেষে এই তথ্য জানান পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তিনি পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়েরও উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, একটা সিদ্ধান্ত হয়েছে যে, কালো টাকা সাদা করার যে বিধি ও রীতি সেটা বন্ধ করে দেওয়া হবে। এখান থেকে সরকার যে টাকা আনতে পারে, সেটা দিয়ে সরকারের যে খুব আগায় তা না। তবে, মূল্যবোধটা বেশি অবক্ষয় হয়। ফলে এটার বিরুদ্ধে স্পষ্ট সিদ্ধান্ত হয়েছে। অর্থপাচারের বিরুদ্ধে কার্যক্রম শুরু হয়ে গেছে।
কালোটাকা সাদা করার সুযোগ কবে থেকে বন্ধ হবে, এমন প্রশ্নের জবাবে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, একটা ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণ দাঁড় করানোর চেষ্টা হচ্ছে। আগে যেমন একটা আদেশের মাধ্যমে বলে দেওয়া হত কালোটাকা সাদা করা যাচ্ছে। এখন আর সেরকম বলা হবে না, উল্টো বলা হতে পারে।
২৭ আগস্ট রাজধানীর আগারগাঁওয়ে এনবিআর সদরদপ্তরে অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে বৈঠকে এনবিআর কর্মকর্তারা কালো টাকা সাদা করার সুবিধা বাতিলের সুপারিশ করেন।
জুলাই মাসে অনুমোদিত ২০২৪–২৫ অর্থবছরের বাজেটে সম্প্রতি ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকার ১৫ শতাংশ কর দিয়ে কালো টাকা বৈধ করার নিয়ম রাখে।
সম্প্রতি ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিও (এফবিসিসিআই) কালো টাকা সাদা করার সুযোগ বাতিল করার আহ্বান জানিয়েছিল।
২০২০-২১ অর্থবছরেও ১০ শতাংশ কর দিয়ে কালো টাকা বৈধকরণের সুযোগ দিয়েছিল তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার। এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, ওই বছর মোট ১১ হাজার ৮৩৯ ব্যক্তি প্রায় ২০ হাজার ৫০০ কোটি টাকা বৈধ করেছিলেন, যা এক বছরে দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। ওইসব বিনিয়োগ থেকে দুই হাজার ৬৪ কোটি টাকা রাজস্ব পেয়েছিল এনবিআর।