সংবাদ শিরোনাম

 

নিজস্ব প্রতিবেদক : টাঙ্গাইল-৪ আসনের উপনির্বাচনে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি কাদের সিদ্দিকীর মনোনয়ন অবৈধ ঘোষণার বিরুদ্ধে করা আপিল খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ।

এর ফলে তিনি নির্বাচনে আর প্রার্থী হতে পারছেন না। একই সঙ্গে ওই আসনে স্থগিত থাকা উপনির্বাচন করতে আর কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের আইনজীবী ব্যারিস্টার ড. মুহাম্মদ ইয়াসিন খান।

এর আগে ১১ জানুয়ারি প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে চার বিচারপতির বেঞ্চে আপিল শুনানি শুরু করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী। পরে আদালত শুনানি মুলতবি করে বলেন- এ আপিল কয়জন বিচারপতি শুনানি গ্রহণ করবেন তা পরে ঠিক করা হবে। সে অনুসারে আজ আপিলটি সকল বিচারপতি (পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ) আপিলের শুনানির জন্য কার্যতালিকায় আসে। পরে শুনানি শেষে আদালত তা খারিজ করে দেন।

টাঙ্গাইল-৪ আসনে দশম সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন কাদের সিদ্দিকীর বড় ভাই লতিফ সিদ্দিকী। ২০১৫ সালের ০১ সেপ্টেম্বর তিনি পদত্যাগ করায় আসনটি শূন্য ঘোষণা করে ০৩ সেপ্টেম্বর গেজেট প্রকাশ করে সংসদ সচিবালয়।

এরপর একই বছরের ১০ নভেম্বর টাঙ্গাইল-৪ আসনে উপ-নির্বাচনের দিন ধার্য করেছিল নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

অন্যদলের পাশাপাশি এতে কৃষক-শ্রমিক-জনতা লীগের প্রার্থী হিসেবে কাদের সিদ্দিকী ও তার স্ত্রী নাসরিন সিদ্দিকী মনোনয়নপত্র দাখিল করেন।

কিন্তু ঋণখেলাপের অভিযোগে ১৩ অক্টোবর রিটার্নিং কর্মকর্তা তাদের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করেন। আপিলের পর ১৮ অক্টোবর প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এর নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের নির্বাচন কমিশন কাদের সিদ্দিকীর আপিল খারিজ করে তার মনোনয়নপত্র বাতিলের চূড়ান্ত রায় দেন।

এরপর নির্বাচন কমিশনের বাতিল আদেশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন কাদের সিদ্দিকী। গত বছরের ০৪ ফেব্রুয়ারি কাদের সিদ্দিকীর মনোনয়নপত্র বৈধ নয় বলে নির্বাচন কমিশনের দেওয়া সিদ্ধান্ত বহাল রাখেন হাইকোর্ট।

এর বিরুদ্ধে কাদের সিদ্দিকী লিভ টু আপিল করলে(আপিলের অনুমতি) আপিল বিভাগ তা ১৫ মার্চ মঞ্জুর করেন।

২০১৪ সালেও টাঙ্গাইল-৮ (সখিপুর) আসনের উপ-নির্বাচনেও প্রার্থী হতে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন কাদের সিদ্দিকী। সে সময়ও ঋণখেলাপের অভিযোগে তার মনোনয়নপত্র বাতিল হয়।


মতামত জানান :

 
 
 
কপিরাইট © ময়মনসিংহ প্রতিদিন ডটকম - সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত | উন্নয়নে হোস্টপিও.কম