শনিবার, মার্চ ১৫, ২০২৫
শনিবার, মার্চ ১৫, ২০২৫

করোনায় ৪৫ লাখ মৃত্যু দেখল বিশ্ব

চলমান মহামারি করোনা ভাইরাসের ভয়াল থাবায় বিশ্বজুড়ে সংক্রমিত হয়ে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা ক্রমে হ্রাস পেয়েছে। একই সঙ্গে আগের দিনের তুলনায় কমল প্রাণঘাতী ভাইরাসটিতে নতুন আক্রান্ত রোগীর সংখ্যাও। গেল ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় শনাক্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন সাড়ে আট হাজারের বেশি মানুষ। একই সময়ে ভাইরাসটিতে নতুন করে সংক্রমিত মানুষের সংখ্যা পাঁচ লাখ ৪১ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।

সর্বশেষ এক দিনে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ দেখল যুক্তরাষ্ট্র। যদিও দৈনিক মৃত্যুতে শীর্ষে উঠে এসেছে উত্তর আমেরিকার দেশ মেক্সিকো। আর দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে রাশিয়া। এতে বিশ্বব্যাপী করোনায় শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে ২১ কোটি ৬৭ লাখের ঘর ছাড়িয়েছে। অন্য দিকে মৃতের সংখ্যাও ৪৫ লাখ ছয় হাজারে পৌঁছে গেছে।

রবিবার (২৯ আগস্ট) বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে মৃত্যু, আক্রান্ত ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডো মিটারস থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, গেল ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় সংক্রমিত হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন আর হাজার ৬৬৫ জন। এতে বিশ্বজুড়ে প্রাণহানির সংখ্যা ৪৫ লাখ ছয় হাজার ৮০০ জনে পৌঁছেছে।

এছাড়া নির্ধারিত এই সময়ের মধ্যে ভাইরাসটিতে নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন পাঁচ লাখ ৪১ হাজার ৭৮৭ জন। এতে মহামারির শুরু থেকে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে ২১ কোটি ৬৭ লাখ ১০ হাজার ৫৪২ জনে দাঁড়িয়েছে।

এ দিকে শেষ ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনার সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রে। একই সময়ের মধ্যে দেশটিতে নতুন করে করোনা ভাইরাসে শনাক্ত হয়েছেন ৭২ হাজার ৭৮৫ জন। আর প্রাণঘাতী ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৬৪৮ জন। করোনা ভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশটিতে এখন পর্যন্ত তিন কোটি ৯৬ লাখ ১৭ হাজার ৪১৭ জন করোনা সংক্রমিত হয়েছেন। আর প্রাণ হারিয়েছেন ছয় লাখ ৫৪ হাজার ৩৮১ জন।

অপর দিকে বিশ্বে দৈনিক প্রাণহানির হিসেবে শীর্ষে উঠে এসেছে মেক্সিকো। গেল ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে মৃত্যুবরণ করেছেন ৮৬৩ জন। এছাড়া নতুন করে করোনায় শনাক্ত হয়েছেন ১৯ হাজার ৫৫৬ জন। এছাড়া মহামারির শুরু থেকে দেশটিতে মোট সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা ৩৩ লাখ ১১ হাজার ৩১৭ জন ছাড়িয়েছে। আর মৃত্যু হয়েছে দুই লাখ ৫৭ হাজার ১৫০ জনের।

সর্বশেষ এক দিনে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দ্বীপরাষ্ট্র ইন্দোনেশিয়ায় করোনার থাবায় মারা গেছেন ৫৯১ জন। এছাড়া নতুন করে ভাইরাসটিতে সংক্রমিত হয়েছেন ১০ হাজার ৫০ জন। এছাড়া মহামারির শুরু থেকে দেশটিতে মোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৪০ লাখ ৬৬ হাজার ৪০৪ জন ছাড়িয়ে গেছে। আর মৃত্যুবরণ করেছেন এক লাখ ৩১ হাজার ৩৭২ জন।

করোনায় আক্রান্তের দিক থেকে তৃতীয় ও মৃত্যুর সংখ্যায় তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ল্যাটিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় সংক্রমিত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন ৬৫৬ জন। আর নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ২৪ হাজার ৬৯৯ জন। অপর দিকে মহামারির শুরু থেকে দেশটিতে মোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দুই কোটি সাত লাখ ২৮ হাজার ৬০৫ জন ছাড়িয়েছে। আর প্রাণ গেছে পাঁচ লাখ ৭৯ হাজার ৫২ জনের।

করোনায় আক্রান্তের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার ঘনবসতিপূর্ণ দেশ ভারত। যদিও প্রাণঘাতী ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারানোদের তালিকায় দেশটির অবস্থান তৃতীয়। গেল ২৪ ঘণ্টায় ভারতে করোনায় শনাক্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন ৪৫৭ জন। নির্ধারিত এই সময়ের মধ্যে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৪৫ হাজার ৫৮ জন। ফলে দেশটিতে মোট শনাক্তের সংখ্যা এরই মধ্যে তিন কোটি ২৬ লাখ ৯৪ হাজার ১৮৮ জন ছাড়িয়েছে। আর প্রাণ হারিয়েছেন চার লাখ ৩৭ হাজার ৮৬০ জন।

এ দিকে গেল ২৪ ঘণ্টায় ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানে নতুন করে মহামারি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২৬ হাজার ৩৪ জন। আর করোনায় সংক্রমিত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন ৬১৪ জন। প্রাণঘাতী ভাইরাসটি থাবা বসানোর পর থেকে দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৪৮ লাখ ৯৫ হাজার ৪৪৮ জন করোনায় শনাক্ত হয়েছেন। আর এক লাখ পাঁচ হাজার ৯০১ জনের প্রাণহানি ঘটেছে।

এছাড়া এখন পর্যন্ত ৬৭ লাখ ২৮ হাজার ৮৫৮ জন ফ্রান্সে, আর রাশিয়ায় ৬৮ লাখ ৬৩ হাজার ৫৪১ জন, এছাড়া যুক্তরাজ্যে ৬৬ লাখ ৯৮ হাজার ৪৮৬

জন, ইউরোপের দেশ ইতালিতে ৪৫ লাখ ২৪ হাজার ২৯২ জন, মুসলিম রাষ্ট্র তুরস্কে ৬৩ লাখ ২৯ হাজার ৫৪৯ জন, জার্মানিতে ৩৯ লাখ ৩৩ হাজার ৫৬৯ জন এবং স্পেনে ৪৮ লাখ ৩১ হাজার ৮০৯ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।

অন্য দিকে প্রাণঘাতী ভাইরাসটিতে সংক্রমিত হয়ে এখন পর্যন্ত এক লাখ ১৪ হাজার ১৫৭ জন ফ্রান্সে, আর রাশিয়ায় এক লাখ ৮০ হাজার ৮৪০ জন, এছাড়া যুক্তরাজ্যে এক লাখ ৩২ হাজার ৩৭৬ জন, ইউরোপের দেশ ইতালিতে এক লাখ ২৯ হাজার ৫৬ জন, মুসলিম রাষ্ট্র তুরস্কে ৫৫ হাজার ৯৫৮ জন, জার্মানিতে ৯২ হাজার ৬৩১ জন এবং স্পেনে ৮৪ হাজার লোকের মৃত্যু হয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর গত বছরের ১১ মার্চ প্রাণঘাতী ভাইরাসটিকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি সংস্থাটি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *