মহামারি করোনা ভাইরাসের ভয়াল থাবায় বিশ্বজুড়ে সংক্রমণ ও প্রাণহানির সংখ্যা ক্রমেই হ্রাস পাচ্ছে। প্রাণঘাতী ভাইরাসটির তাণ্ডব শুরুর পর থেকে রোগটিতে মৃত্যু, আক্রান্ত ও সুস্থতার হালনাগাদ তথ্য প্রদানকারী ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডো মিটারস এ তথ্য জানিয়েছে।
ওয়েবসাইটটির হিসেব অনুযায়ী, রবিবার (১২ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ সময় সকাল ১০টা পর্যন্ত শেষ ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বজুড়ে কোভিড শনাক্ত হয়েছেন চার লাখ ৪৮ হাজার ২৮৪ জন। আর রোগটিতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন সাত হাজার ৬৩২ জন।
মূলত এর আগের দিন শুক্রবার রোগটিতে নতুন করে সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা ছিল পাঁচ লাখ ৯৭ হাজার ৫৫৫ জন। আর মৃত্যু হয়েছিল নয় হাজার ১৫২ জনের।
অর্থাৎ, এক দিনের ব্যবধানে বিশ্বে কোভিড শনাক্ত রোগীর সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে এক লাখ ৪৯ হাজার ২৭১ জন। এছাড়া মৃতের সংখ্যাও কমেছে এক হাজার ৫২০ জন।
গত দিনের মতো শনিবারও করোনায় সর্বোচ্চ আক্রান্ত ও মৃত্যু হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। এদিন দেশটিতে রোগটিতে সংক্রমিত হয়েছেন ৭১ হাজার ২৭৭ জন। আর মৃত্যু হয়েছে ৭১৮ জনের।
শনিবার যুক্তরাষ্ট্র ব্যতীত অন্যান্য যেসব দেশে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত রোগী ও মৃত্যুতে উচ্চহার লক্ষ্য করা গেছে সে দেশগুলো হলো– ভারত (নতুন শনাক্ত ৩১ হাজার ৩৯১, প্রাণহানি ৩৩৮), যুক্তরাজ্য (নতুন শনাক্ত ২৯ হাজার ৫৪৭, মৃত্যু ১৫৬), তুরস্ক (নতুন শনাক্ত ২২ হাজার ৯২৩, প্রাণহানি ২৫৯), ফিলিপাইন (নতুন শনাক্ত ২৬ হাজার ৩০৩, মৃত্যু ৭৯), মালয়েশিয়া (নতুন শনাক্ত ১৯ হাজার ৫৫০, প্রাণহানি ৫৯২) এবং রাশিয়া (নতুন শনাক্ত ১৮ হাজার ৮৯১, মৃত্যু ৭৯৬)।
বিশ্বে বর্তমানে সক্রিয় কোভিড রোগী আছেন এক কোটি ৮৮ লাখ ২৭ হাজার ২৫৪ জন। এই রোগীদের মধ্যে করোনার মৃদু উপসর্গ বহন করছেন এক কোটি ৮৭ লাখ ২৩ হাজার ৮২৪ জন। এছাড়া গুরুতর অসুস্থ অবস্থাতে আছেন এক লাখ তিন হাজার ৪৩০ জন।
নির্ধারিত এই সময়ের মধ্যে শনিবার করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন চার লাখ ৪৯ হাজার ১০২ জন। আগের দিন শুক্রবার এই সংখ্যা ছিল পাঁচ লাখ ৫০ হাজার ৩৬১ জন।
ওয়ার্ল্ডো মিটারসের পরিসংখ্যান বলছে, মহামারি শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে কোভিড শনাক্ত হয়েছেন মোট ২২ কোটি ৫০ লাখ ৬৬ হাজার ৬৬৯ জন। আর মারা গেছেন মোট ৪৬ লাখ ৩৭ হাজার ৫৬২ জন।
এ পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে করোনায় সংক্রমিত হওয়ার পর সুস্থ হয়ে উঠেছেন মোট ২০ কোটি ১৬ লাখ এক হাজার ৮৫৩ জন।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে বিশ্বের প্রথম করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত রোগী শনাক্ত হয়। মহামারি ভাইরাসটিতে প্রথম মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছিল চীনে।
তারপর অত্যন্ত দ্রুতগতিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে প্রাণঘাতী ভাইরাসটি। পরবর্তীকালে পরিস্থিতি সামাল দিতে ২০২০ সালের ২০ জানুয়ারি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বিশ্বজুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করে।
যদিও তাতেও রোগটির সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে না আসায় অবশেষে ওই বছর ১১ মার্চ করোনাকে বৈশ্বিক মহামারি ঘোষণা করে ডব্লিউএইচও।