সংবাদ শিরোনাম

 

প্রাচীনকালে শান্তির দূত ছিলো পায়রা। তবে শুধু শান্তির প্রতিকীতে নয় বার্তা আদান প্রদানেও ছিলো পায়রার প্রচলন৷ মানব সভ্যতার এই আধুনিক যুগে পায়রার ভূমিকায় হাতে হাত রেখে ময়মনসিংহের বুক জুড়ে  শান্তি, সহযোগিতা এবং ভালোবাসা বিলিয়ে বেড়াচ্ছে একদল তরুণ এবং তরুণী যাদেরকে সবাই চেনে “সাহায্যের ডাকপিয়ন” হিসেবে।

গত ৮ ও ৯ এপ্রিল সোমবার ও মঙ্গলবার। সাহায্যের ডাকপিয়নের পায়েরাগুলো ছুটে গিয়েছিলো ময়মনসিংহ শহরের আকুয়ায় অবস্থিত সরকারি শিশু পরিবার (বালিকা) এবং মোমেনশাহী  শিশু সদন, পাটগুদাম ব্রীজ মোড়। উদ্দেশ্য সাধু এবং তা হলো ঐ এতিমখানাদ্বয়ের মেয়েদের নিয়ে মেহেদী উৎসব উৎযাপন করা। বিগত আট বছর যাবৎ ঈদের পূর্বে এই মেহেদী উৎসব পালন করে আসছে। প্রতি বছরের ন্যায় এবার ৯ম বারের মতো ইদের আনন্দ এতিম খানার শিশুদের সাথে ভাগাভাগি করতে “সাহায্যের ডাকপিয়ন” নামক সংগঠনটি এগিয়ে আসে।

মেহেদী উৎসব সম্পন্ন হয় ৮ ও ৯ এপ্রিল সকাল ৯ টা থেকে  দুপুর ১ টা পর্যন্ত। এতে  ভল্যান্টিয়ার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন লামিয়া জামান,যারীন শাইমা,নাফিসা সুলতানা, নুসরাত হোসেন সিমরান, নাসরিন হোসেন সামান্তা, সুরাইয়া ইসলাম, ইফফ্তা জেবিন ইকরা, ফারিয়াতুল জান্নাত অনামিকা, সাদিয়া জাহান, মনিরা রহমান উর্মি, সাকিরুল হাসান উল্লাস, মো:ইয়াসির আরাফাত, তারিকুল ইসলাম জিম, মো:সাদাব রহমান, সিয়াম আহমেদ, রাজু আহমেদ এবং মিজানূন হোসাইন এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সাহায্যের ডাকপিয়নের প্রতিষ্ঠাতা হাসিবুল বান্না রিয়াদ।

তিনি বলেন,”এতিম মেয়ে শিশুদের মেহেদী রাঙা হাত যেন ভোরের সূর্যের ন্যায় স্নিগ্ধ-সুন্দর এবং তা পৃথিবীর সবচেয়ে নিস্পাপ সুন্দর হাত। এবং তিনি সামর্থবান সকলকে ইদের খুশি যার যার উপায়ে সকলের সাথে ভাগ করে নিতে আহ্বান জানান এবং সার্বিক সহযোগিতার জন্য তিনি সাহায্যের ডাকপিয়নের পক্ষ থেকে সরকাটি শিশু পরিবার কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান।”


মেহেদী উৎসব শেষে বিগত বছরের মেহেদী উৎসবের সুন্দর মুহূর্ত গুলোর ছবি বিতরণ করা হয়।এরপর ভলান্টিয়ারদের মাঝে প্রশংসাপত্র বিতরণ করা হয় এবং সকল ভলেন্টিয়ারদের  ছোট একটি উপহার প্রদান করে সকলে মিলে একটি দলগত ছবি তোলার মাধ্যমে কার্যক্রমের সমাপ্তি ঘটে।

 

উল্লেখ্য, সাহায্যের ডাকপিয়ন” একটি অলাভজনক সংগঠন যা সাধারণত অসহায়দের কল্যাণে নিঃস্বার্থভাবে কাজ করে থাকে। সমাজে সাধারণত দুই ধরনের মানুষ আছে। ১ম হচ্ছে যারা সাহায্য চাইছেন এবং দ্বিতীয়ত যারা সাহায্য করতে চাচ্ছেন এবং এই সংগঠনটি এই দুই ধরনের মানুষের মাঝে একটি সুন্দর সেতু হিসেবে কাজ করে।এটি ২০১৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং এখন পর্যন্ত ডাকপিয়নেরা নানা ইভেন্ট আয়োজন করেছে, যেমন-“এতিম ও পথশিশুদের মধ্যে  বস্ত্র বিতরণ”, “মূক ও বধির শিশুদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ প্রদান কর্মসূচী” “এতিম ও দরিদ্র শিশুদের নিয়ে মেহেদী উৎসব” ইত্যাদি।

 

টিম “সাহায্যের ডাকপিয়ন” এসবের পাশাপাশি সুদূরপ্রসারী কিছু কার্যক্রম হাতে নেয়ার স্বপ্ন বিভোর এবং সে অনুযায়ী কাজ করে যাচ্ছে।এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে স্বাবলম্বী করে গড়ে তোলা,কারণ “সাহায্যের ডাকপিয়ন” বিশ্বাস করে সকলের স্বাবলম্বিতার মাধ্যমেই দেশ ও জাতি এগিয়ে যাবে উন্নতির সর্বোচ্চ শিখরে। এবং “সাহায্যের ডাকপিয়ন” বিশ্বাস করে যে,সেই সুদিন বেশি দেরি নাই যেদিন দেশের প্রতিটা আনাচে কানাচে ডাকপিয়নেরা সাহায্যের ডাক ডাকবে।

 


মতামত জানান :

 
 
 
কপিরাইট © ময়মনসিংহ প্রতিদিন ডটকম - সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত | উন্নয়নে হোস্টপিও.কম