নিজস্ব প্রতিবেদক : নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠন নিয়ে রাষ্ট্রপতির উদ্যোগের অংশ হিসেবে মঙ্গলবার রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের সঙ্গে বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন (বিটিএফ) ও বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি)’র পৃথক আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
বিটিএফ মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসীদের নিয়ে সার্চ কমিটি ও ইসি গঠনের জন্য ১৭ দফা প্রস্তাব উপস্থাপন করে।
অন্যদিকে বিজেপি সার্চ কমিটি ও নতুন ইসি গঠনের জন্য পাঁচ দফা এবং ইসিকে শক্তিশালী করতে নয় দফা প্রস্তাব উপস্থাপন করে।
আলোচনার পর রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদিন সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
আলোচনায় বিটিএফ-এর ১০ সদস্যের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন দলের চেয়ারম্যান নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী। আর বিজেপি চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ নেতৃত্ব দেন তার নেতৃত্বাধীন আট সদস্যের প্রতিনিধিদলের। বঙ্গভবনে দরবার হলে এই আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
বিটিএফর প্রস্তাবের মধ্যে রয়েছে নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগে সংবিধান অনুযায়ী একটি আইন প্রণয়ন এবং ইসির আর্থিক স্বাধীনতা নিশ্চিত করা।
আবদুল হামিদ সুচিন্তিত মতামত ও প্রস্তাব দেয়ার জন্য বিটিএফ প্রতিনিধিদলকে ধন্যবাদ জানান এবং আশা করেন রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত ও প্রস্তাবের মাধ্যমে একটি শক্তিশালী ইসি গঠন সম্ভব হবে।
বিজেপির প্রস্তাবের মধ্যে রয়েছে সার্চ কমিটি ও ইসিতে ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের একজন প্রতিনিধি রাখা। তারা আট সদস্যের ইসি গঠনেরও প্রস্তাব দিয়েছে।
আন্দালিব রহমান পার্থ বলেন, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নির্বাচন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, রাজনীতিক ও রাজনৈতিক দলের গণতান্ত্রিক চর্চায় গণতন্ত্র বিকশিত হয়। তিনি আরও বলেন, গণতন্ত্রে সংলাপ হলো একটি কার্যকর ব্যবস্থা।
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেন, পারস্পরিক আস্থা ও বিশ্বাসের মাধ্যমে গণতন্ত্র সামনের দিকে আগায়। তিনি বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্য প্রয়োজন।
গত বছরের ১৮ ডিসেম্বর বিএনপির সঙ্গে আলোচনার মধ্যদিয়ে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ নতুন ইসি গঠনের জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আনুষ্ঠানিক আলোচনা শুরু করেন। আগামী ১১ জানুয়ারি সরকারি দল আওয়ামী লীগের সঙ্গে রাষ্ট্রপতির সংলাপের কথা রয়েছে।
কাজী রকিবউদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বাধীন বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে শেষ হচ্ছে।