আলু-পেঁয়াজের দাম চড়া, মাছ-মুরগিতে স্বস্তি
বাজারের প্রায় প্রতিটি দোকানেই মিলছে আলু। পেঁয়াজের দোকানগুলোতেও থরে থরে সাজানো আছে পেঁয়াজের বস্তা। তারপরও দাম চড়া। প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৬০-৬৫ টাকা। মহল্লার কিছু কিছু দোকানে ৭০ টাকা পর্যন্ত আলু বিক্রি হতে দেখা গেছে। পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৯৫ টাকা। কোনো কোনো দোকানে ১০০ টাকায়। তবে মুরগির ও মাছের দাম তুলনামূলক কমে আসায় মাছ-মুরগিতেই স্বস্তি খুঁজছেন কম আয়ের মানুষেরা।
শুক্রবার (২৮ জুন) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার সরেজমিনে গিয়ে এসব চিত্র দেখা গেছে।
আলু পেঁয়াজের অস্বাভাবিক দামে ক্ষুদ্ধ ক্রেতারা। মাস খানেক আগে ঢাকার খুচরা বাজারে আলুর কেজি বিক্রি হয় ৫০ টাকার আশপাশের দরে। আজ খুচরায় প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৬০-৬৫ টাকা দরে। তবে এলাকাভিত্তিক ছোট বাজার ও মহল্লায় কিনতে হচ্ছে ৭০ টাকা পর্যন্ত।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, এবার মৌসুমে দর বেশি থাকায় অনেক কৃষক অপরিপক্ক আলু তুলে বিক্রি করেছেন। ফলে লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী আলু উৎপাদন হয়নি। তাছাড়া উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ায় কৃষকও দর বাড়িয়েছেন।
বাজার ঘুরে দেখা যায় বেগুন প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকা, গোল বেগুন ৮০-৯০ টাকা, পটল ৫০-৬০, চিচিঙ্গা ৭০-৮০ টাকা, ঢেঁড়শ ৫০-৬০ টাকা মান ও সাইজভেদে লাউ ৬০-৮০ টাকা, ছোট সাইজের মিষ্টি কুমড়া ১০০-১২০ টাকা, জালি ৫০-৬০ টাকা, পেঁপে ৪০-৫০ টাকা, কাঁচা কলা ডজন ৯০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে, টমেটো ১৫০ টাকা, শশা ১৫০ টাকা। যা গেল সপ্তাহে প্রায় একই দামে বিক্রি হয়েছে। কাঁচা মরিচের কিছুটা দাম কমলেও তা ২৫০ টাকার উপরেই বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে ৪০০ টাকার উপরে দাম ছিল।
এ ছাড়াও শাকের মধ্যে পাট শাক ১৫-২০, কলমি শাক ১০-১৫, পালং ১০-১৫ টাকা, লাউ শাক ৩০-৪০, লাল শাক ১৫ টাকা, পুই শাক ৩০-৪০ টাকা আটি বিক্রি হচ্ছে। তবে বাজারে দোকানের তুলনায় ভ্যানে কিংবা ফুটপাতের দোকানগুলোতে প্রতিটি সবজির দাম ৫-১০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, আজকের বাজারে গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৮০০ টাকা কেজি, গত সপ্তাহেও ৭৫০ টাকার মধ্যেই ছিল। এছাড়াও প্রতি কেজি খাসির মাংস এক হাজার ৫০ টাকা থেকে এক হাজার ২০০ টাকা ও ছাগলের মাংস বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার টাকায়। এদিকে, প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা। দেশি মুরগি ৭০০-৭৩০ টাকা, সাদা লেয়ার ২৯০ টাকা ও লাল লেয়ার বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ টাকায় এবং প্রতি কেজি সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩০০-৩২০ টাকায়।
মাছের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, অন্যান্য পণ্যের তুলনায় মাছের বাজারেও কিছুটা স্বস্তি মিলছে। বড় চিংড়ি মাছ বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকায়, যেখানে গত সপ্তাহেও ছিল ৭০০ টাকা পর্যন্ত। শিং মাছ বিক্রি হচ্ছে ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা। এছাড়াও পাঙাশ ১৬০ টাকা, তেলাপিয়া ২২০ টাকা, কার্প মাছ ২৬০ টাকা, রুই মাছ ৩৫০ টাকা, মলা মাছ ২৮০, কই ২০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। তবে সপ্তাহ ব্যবধানে পাবদা মাছের দাম কিছুটা বেড়েছে। গত সপ্তাহে যেখানে পাবদা মাছ ছিল ৩৫০ থেকে সর্বোচ্চ ৪০০ টাকা, আজকের বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৪৬০ টাকা পর্যন্ত।